
মাসিক প্রতিটি মহিলা এবং এখন ১০ বছরের মেয়েদেরও হয়। মাসিক স্বাভাবিক হলেও, একে স্বাভাবিকভাবে নেওয়া উচিত নয় কারণ যদি আপনি মাসিকের সময় স্বাস্থ্যবিধি এবং কিছু বিষয়ের যত্ন না নেন, তাহলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। তাই আজ আমরা মহিলাদের এই মাসিক ধর্ম সম্পর্কে কিছু বিশেষ তথ্য নিয়ে এসেছি। এই তথ্য আপনার মাসিকের স্বাস্থ্যবিধির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক এর সাথে সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য...
কোন স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করা উচিত?
স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ প্রেমলতার মতে তুলার তন্তু দিয়ে তৈরি স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করা উচিত।
তুলার প্যাড, সিন্থেটিক উপাদান দিয়ে তৈরি প্যাডের তুলনায় বেশি রক্ত শোষণ করে এবং বেশি আরামদায়ক।
পুনর্ব্যবহারযোগ্য তুলার তৈরি প্যাড যেমন মাসিকের প্যান্টি এবং হাইব্রিড কাপড়ের প্যাড ব্যবহার করা থেকে মহিলাদের বিরত থাকা উচিত, যতক্ষণ না এটি ভালোভাবে ধুয়ে সম্পূর্ণ শুকিয়ে ব্যবহার করা হয়।
মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহারের সময় এই বিষয়গুলোর যত্ন নিন
মেনস্ট্রুয়াল কাপ মাসিকের রক্ত শোষণ করে না, বরং জমা করে।
কাপ যোনিতে লাগানো হয় এবং এটি পরিষ্কার করে পুনরায় ব্যবহার করা যায়।
আপনার সুবিধা অনুযায়ী সঠিক আকারের কাপ বেছে নিন, যাতে আরামদায়ক হয়।
মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহারের আগে পরিষ্কার এবং শুকনো থাকা উচিত যাতে কোনও ধরনের সংক্রমণ না হয়।
একবার মাসিকের সময় ব্যবহার করার পর কাপটি ৪-৫ মিনিট গরম জলে ফুটিয়ে নিন এবং সুগন্ধিহীন সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
একদিনে কতবার প্যাড পরিবর্তন করা উচিত
সাধারণত একদিনে ৩-৪ বার প্যাড পরিবর্তন করা উচিত।
যাদের বেশি রক্তপাত হয়, তাদের প্রতি তিন ঘন্টায় প্যাড পরিবর্তন করা উচিত।
আর যদি মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করেন তাহলে ৬-৮ ঘন্টা পর কাপটি খালি করা উচিত।
মাসিকের সময় এই বিষয়গুলোর যত্ন নিন
তুলার অন্তর্বাস ব্যবহার করুন যাতে বাতাস চলাচল করতে পারে, এতে আর্দ্রতা কমবে এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
মাসিকের সময় যোনির আশেপাশে শেভিং করলে ছোট ছোট কাটা লাগতে পারে, যা ব্যাকটেরিয়া এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
ডাক্তাররা পরামর্শ দেন যে সম্পূর্ণ শেভ না করে বরং ছোট ছোট করে ছাঁটাই করা উচিত, কারণ যৌনাঙ্গের লোম সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
যদি রক্তপাত থেকে তীব্র দুর্গন্ধ আসে তাহলে মহিলাদের ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
যোনির পরিষ্কার সবসময় সামনে থেকে পিছনে এবং উপর থেকে নীচের দিকে করলে মলদ্বার থেকে যোনিতে ব্যাকটেরিয়া যাওয়ার ঝুঁকি থাকে না।
এছাড়াও এটি মূত্রনালীর সংক্রমণ থেকেও রক্ষা করতে পারে।
মাসিকের সময় যদি জ্বালাপোড়া, দুর্গন্ধ এবং কোনও ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করুন।