মাঝ রাতে উঠে রোজ খাবার খাচ্ছেন? জেনে নিন অজান্তে কী ক্ষতি হতে পারে শরীরে?

Published : Nov 29, 2025, 01:50 PM IST
midnight snacking side effects

সংক্ষিপ্ত

অনেকে ধূমপান বা মদ্যপানকে 가장 বিপজ্জনক মনে করলেও, মধ্যরাতে খাওয়ার অভ্যাসটি তার চেয়েও বেশি ক্ষতিকর হতে পারে। এই অভ্যাস ঘুম, হজম এবং হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে, যা ওজন বৃদ্ধি, ফ্যাটি লিভার এবং অন্যান্য লাইফস্টাইল ডিসঅর্ডারের কারণ হয়।

অনেকেই মনে করেন যে স্বাস্থ্যের জন্য শুধুমাত্র ধূমপান এবং মদ্যপানই সবচেয়ে বিপজ্জনক অভ্যাস, কিন্তু সত্যিটা তা নয়। এর চেয়েও বিপজ্জনক আপনার একটি অভ্যাস যা প্রতিদিন শরীরকে ভেতর থেকে দুর্বল করে দিচ্ছে - আর তা হলো মধ্যরাতে খাওয়া। গভীর রাতে বারবার কিছু খেতে থাকা শুধু ওজন বাড়ার কারণই নয়, বরং এটি আপনার ঘুম, হজম এবং হরমোনের ভারসাম্যের ওপরও সরাসরি প্রভাব ফেলে। অনেক সময় সারাদিনের ক্লান্তি, মানসিক চাপ বা অনিয়মিত জীবনযাত্রার কারণে মানুষ রাতে কিছু না কিছু খেতে শুরু করে, যা ধীরে ধীরে লাইফস্টাইল ডিসঅর্ডারের একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

মধ্যরাতে খাওয়া কী

মধ্যরাতে খাওয়া হলো সেই অভ্যাস যেখানে আপনি মাঝরাতে ঘুম থেকে উঠে বা গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকার সময় কিছু না কিছু খেতে থাকেন। এটি খিদে মেটানোর চেয়েও বেশি একটি অভ্যাস, যা একঘেয়েমি, স্ক্রিন দেখার সময় ক্রেভিংস বা ইমোশনাল ইটিং-এর সাথে জড়িত। শরীর রাতের বেলা নিজেকে মেরামত বা বিশ্রামের জন্য প্রস্তুত করে, কিন্তু খাওয়ার কারণে তাকে আবার সক্রিয় হতে হয়। এর ফলে শুধু হজম প্রক্রিয়া ধীর হয় না, বরং ব্লাড সুগার লেভেলও প্রভাবিত হয়।

মধ্যরাতে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কেন

রাতে খাওয়া শরীরের স্বাভাবিক বডি ক্লককে ব্যাহত করে। এর ফলে ঘুমের মান খারাপ হয় এবং ঘুম সম্পূর্ণ না হওয়ায় পরের দিন শরীর ভারী ও ক্লান্ত লাগে। বারবার রাতে খেলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স, স্থূলতা, ফ্যাটি লিভার এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে। এছাড়া, রাতে উচ্চ ফ্যাট বা চিনিযুক্ত খাবার খেলে পেট ভারী লাগে এবং গ্যাস, অ্যাসিডিটি, ফোলাভাব ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যায়। দীর্ঘ সময় ধরে এই অভ্যাস মেটাবলিজমকে দুর্বল করে দেয়, যার ফলে ক্যালোরি শরীরে জমা হতে থাকে এবং ওজন দ্রুত বাড়ে।

গভীর রাতে খিদে না লাগার জন্য কী খাবেন

মধ্যরাতে খাওয়ার অভ্যাস বন্ধ করার জন্য রাতের খাবার হালকা কিন্তু পুষ্টিকর হওয়া উচিত এবং সময়মতো খাওয়া জরুরি। রাতে ঘুমানোর ২ ঘণ্টা আগে এমন খাবার খাওয়া ভালো যাতে প্রোটিন এবং ফাইবার থাকে, যাতে পেট দীর্ঘ সময় ভরা থাকে। ডাল, সবজি, দই, খিচুড়ি, সুজি বা ডালিয়ার মতো খাবার পেটের জন্য হালকা এবং এতে ঘুমও ভালো হয়। তারপরেও যদি হালকা খিদে লাগে, তাহলে গরম হলুদ দুধ, নারকেলের জল বা হালকা গরম জল পান করলে ক্রেভিংস কমে যায় এবং অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাকসের প্রয়োজন হয় না।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

রোজ প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট নিচ্ছেন! অজান্তেই কি শরীরকে ক্ষতির দিকে ঠেলে দিচ্ছেন?
Teeth Health: দাঁতের ফাঁকে খাওয়ার আটকে থাকলে কি দিয়ে পরিষ্কার করবেন টুথপিক নাকি ফ্লজ?