শুধু ভাত, নাকি রুটি? নাকি দুটোই একসাথে খাচ্ছেন? কী বলছেন পুষ্টিবিদেরা, জানবো।
ভাত ই রুটি দু’য়ের মধ্যেই কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা বেশি এবং গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও বেশি, তাই দুটি কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার একসঙ্গে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে বাধ্য।
এক কাপ ভাতের সমান একটি রুটি। যদি কেউ এক কাপ ভাতের সঙ্গে দু’টি রুটি খান, তা হলে একবারে ৫০০ গ্রামের মতো কার্বোহাইড্রেট শরীরে ঢুকবে। কিন্তু একজন প্রাপ্তবয়স্কের ক্ষেত্রে দৈনন্দিন কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করা উচিত ১৩০-১৪০ গ্রাম। ভাত-রুটি একসঙ্গে খেলে তা প্রয়োজনের তুলনায় বেড়ে যায় অনেকটা।
ভাত রুটি একসঙ্গে খেলে হজমের সমস্যাও হতে পারে। যদি একই সময়ে ভাত ও রুটি কেউ একসঙ্গে খান, ফলে হজমপ্রক্রিয়া ধীর গতিতে হবে। পেটফাঁপা, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা আরও বেড়ে যায়। আবার রুটি খেলে অম্বল হয় অনেকেরই। তাই কেবল ভাত খেয়ে ওজন বাড়ছে ভেবে তাঁরা রুটির সঙ্গে ভাত একসঙ্গে খাচ্ছেন, এমন করলে অম্বলের সমস্যা আরও বাড়বে। তার চেয়ে এক কাপ ভাত অথবা একটি রুটি খাওয়া ভাল। যদি দু’রকমই খেতে হয়, তা হলে মাঝে ৪-৫ ঘণ্টার বিরতি থাকা জরুরী। অল্প করে ভাত আর বেশি করে সব্জি খাবেন। এতেই শরীরে কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন ও খনিজ উপাদানগুলির ভারসাম্য সঠিক থাকবে।
উচ্চ কোলেস্টেরল, হাইপারটেনশনে যাঁরা ভুগছেন, তাঁদেরও ভাত-রুটি মিলিয়ে খাওয়া উচিত নয়। তার চেয়ে ব্রাউন রাইস, ওট্স বা ডালিয়া খেতে পারেন।
গ্লুটেন অ্যালার্জি :
যাদের গ্লুটেন অ্যালার্জি রয়েছে। আর এনারা রুটি খাওয়ার পরই গ্যাস, অ্যাসিডিটিতে ভোগেন। তাই এমন সমস্যা থাকলে রুটির বদলে ভাত খাওয়াটাই ঠিক। এমনকী আইবিএস-এর মতো পেটের অসুখে ভুক্তভোগীরাও রুটির বদলে ভাত খেতে পারেন।
ডায়াবেটিসে ভাত নয় : অনেকে মনে করেন যে রাতেরবেলায় ভাত খেলে বোধহয় ব্লাড সুগার বাড়বে। তবে এই ধারণার কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই বলেই জানালেন কোয়েল পাল চৌধুরি। তাঁর কথায়, যে কোনও ডায়াবিটিস রোগী চাইলেই রাতে ভাত খেতে পারেন।
তবে মধুমেহ রোগীরা রাতে ভাত খেতে চাইলে সবার আগে একবার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ফেলুন। তাঁর বলে দেওয়া পরিমাণ মতো ভাত খান। আশা করছি, তাতেই শরীর থাকবে সুস্থ-সবল।