উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্র বিভিন্ন জীবনধারা ও অসুস্থতা সংক্রান্ত কারণে হতে পারে। তবে কোলেস্টেরল হওয়ার মূল কারণ হল খাদ্যাভ্যাস। নিয়মিত শরীরচর্চা না করার কারণেও কোলেস্টেরল হতে পারে।
আপনি কি কোলেস্টেরলের রোগী? তাহলে এখন থেকেই সাবধান হয়ে যান। কারণ কোলেস্টেরল বাড়লে স্ট্রোক সহ একাধিক গুরুতর রোগ হতে পারে। কারণ কোলেস্টেরলের মাত্র বাড়লেও অনেকে তা বুঝতে পারেন না। তাতেই মৃত্যুর ঝুঁকি পর্যন্ত বাড়ে। তাই দেরি হওয়ার আগেই পদক্ষেপ করা জরুরি।
উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্র বিভিন্ন জীবনধারা ও অসুস্থতা সংক্রান্ত কারণে হতে পারে। তবে কোলেস্টেরল হওয়ার মূল কারণ হল খাদ্যাভ্যাস। নিয়মিত শরীরচর্চা না করার কারণেও কোলেস্টেরল হতে পারে।
কোলেস্টোরল হওয়ার পাঁচটি কারণ-
১. পারিবারের কোনও সদস্যের কোলেস্টেরল থাকলে তা আপনারও হতে পারে। বাবা-মা বা নিটক আত্মীয়দের উচ্চ কোলেস্টেরল ইতিহাস থাকে তবে সেটি তার সন্তান বা পরবর্তী প্রজন্মের হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জেনেটিস্ক কোলেস্টেরল বিকাশে সাহায্য করে। তাই বাবা মায়ের এই রোগ থাকলে আগে থেকেই সাবধান হওয়া জরুরি। নিয়মিত শরীর চর্চা আর খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর দিতে হবে।
২. খাদ্য়াভ্যাসের কারণেও কোলেস্টেরল হতে পারে। খুব চর্বি যুক্ত খাবার থেকে কোলেস্টেরল হতে পারে। প্রক্রিয়াজাত মাংস, ভাজা, স্যাচুরেটেড চর্বিযুক্ত খাবার রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করতে পারে।
৩. শারীরিকভাবে সক্রিয় না হলে কোলেস্টেরল হতে পারে। তাই কোলেস্টেরল থাকুক বা না থাকুক নিয়মিত শরীর চর্চার প্রয়োজন রয়েছে। নিয়মিত ব্য়ায়াম শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল কমায় আর ভাল কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য় করে। তবে কোলেস্টেরল থাকলে অবশ্যই চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে।
৪. অতিরিক্ত ওজনের কারণে কোলেস্টেরল হতে পারে। স্থূলতা বা গার্টের ওপর অতিরিক্ত চাপ কোলেস্টেরলের কারণ হতে পারে। এতে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন কমালে খারাপ কোলেস্টেরলের সম্ভাবনা কমতে পারে।
৫. ধূমপানের কারণে কোলেস্টেরল হতে পারে। সিগারেট বা তামাক জাতীয় খাবার শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ায়। নষ্ট করে দেয় ভাল কোলেস্টেরল। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়া ধূমপান একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।