
বাঙালির প্রিয় খাবারের মধ্যে একটি ডিম সেদ্ধ, আলুসেদ্ধ আর ভাত। ছোটবেলা থেকে বড়বেলা- তড়িঘড়ি বাইরে যাওয়ার জন্য হলে এই খাবারটি খেয়েই বাইরে যায়। আবার রান্নার সমস্যা রয়েছে - তাহলেও সেদ্ধ ভাত আর সঙ্গে ডিম আর আলু সেদ্ধা হলেই হয়ে যায়। কিন্তু এই খাবারটি ঠিক কতটা উপকারী- তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কারণ ভাত আর আলু এদুটিতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানেই চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ডিম-ভাত আর আলুর চোখার উপকারিতার কথা।
ভাতের উপকারিতাঃ
চিকিৎসক বলছেন, ১০০ গ্রামে ভাতে ক্যালোরি থাকে ১৩০ গ্রাম। কার্বোহাইড্রেট ২৮ গ্রাম। আর প্রোটিন থাকে মাত্র ২.৭ গ্রাম। ভাতে প্রচুর ফাইবার পরিমাণ জল থাকে। ভাতে সুগার লেভেল বাড়তে পারে। তবে প্রাপ্ত বয়স্ক একজন আড়াইশো থেকে তিনগ্রাম ভাত খান।
ডিম-
ডিমে ক্যালোরি ১৫০ কিলো। প্রোটিন ১২ গ্রাম আর ফ্যাট ১০ গ্রাম থাকে। রোজ একটা করে ডিম খাওয়া যেতেই পারে। তবে ব্লাডপ্রেসার থাকলে ডিম কম খাওয়া উচিৎ। ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে। তাই অনেক সময়ই চিকিৎসকরা কুসুম বাদ দিয়েই ডিম খেতে বলেন।
আলু-
দেড়শো গ্রামের আলুতে ৪৭০ কিলো ক্যালোরি। যার বেশিরভাগটাই কার্বোহাইড্রেটেড।
এতে প্রোটিনের পরিমাণ খুব কম থাকে। তবে কার্বোহাইড্রেটেড বেশি থাকে। তাই সঙ্গে একটু সবজি মিশিয়ে নিলেই একটি কমপ্লিট ডায়েট হয়ে যায়। তাই ভারতের সঙ্গে যখন আলু সেদ্ধ দেবেন তখন অবশ্যই সঙ্গে মরশুমি সবজি দিতে দিতে পারেন। গরমকালে পটল, কুমড়ো, বরবটি দিতেই পারেন। চাইলে দুই একটি কাঁচা লঙ্কাও ফেলে দিতে পারেন ভাতের সঙ্গে। শীতলাকে গাজর, ফুলকপি টমেটোর মত সবজি দিতেই পারেন। তাহলেই ঝটপট রান্না খাওয়া হয়ে যাবে। সঙ্গে একটি একটি পরিপূর্ণ খাবারও খেতে পারেন।