ঘুমের সময় শ্বাসনালীতে বাধা তৈরি হল নাকডাকে। এই সংকীর্ণতা গলার নরম টিস্যুগুলির কম্পন সৃষ্টি করে। এলার্জি, সর্দির কারণে নাক ডাকে।
ঘুমের মধ্যেই অনেকেই নাক ডাকে। শিশু থেকে বৃদ্ধ - অনেকেরই এই সমস্যা রয়েছে। যারা নাক ডাকে তাদের সমস্যা হয় না। কিন্তু পাশে যারা থাকে তাদের সমস্যা হয়। পাশের মানুষের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। এই অবস্থায় কী করে বন্দ করবেন নাসিকাগর্জন বা নাকডাকা- রইল চারই টিপস।
নাক ডাকার কারণ-
ঘুমের সময় শ্বাসনালীতে বাধা তৈরি হল নাকডাকে। এই সংকীর্ণতা গলার নরম টিস্যুগুলির কম্পন সৃষ্টি করে। এলার্জি, সর্দির কারণে নাক ডাকে। কাঠামোগত অস্বাভাবিকতা বা ছোট চোয়াল, শ্বাসনালীতে বাঝা তৈরি করলে নাসিকাগর্জন হয়। ঘাড়, গসায় চর্বি বেশি জমলে নাসিকা গর্জন হয়।
নাসিকা গর্জন বন্ধের ঘরোয়া প্রতিকার-
পাশফিরে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। যদি সোজা হয়ে শুতে চান তাহলে মাথায় উঁচু বালিশ বা কুশান ব্যবহার করুন। তাতে শ্বাসনালীর ওপর চাপ কম পড়বে। নাক ডাকা বন্ধ হবে। ঘুমানোর আগে শ্বাসনালীকে আদ্র রাখুন। সেই সময় জল বা অন্য কোনও পানীয় পান করতে পারেন। কিন্তু অ্যালকোহল নয়। তাতে নাকডাকা আরও বাড়বে। অ্যালার্জি প্রতিরোধে ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন। গলার ব্যায়াম করুন।
নাকডাকা রোধ প্রতিরোধের উপায়ঃ
একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন: একটি স্বাস্থ্যকর, পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য এবং নিয়মিত ব্যায়াম শরীরের সর্বোত্তম ওজন অর্জন এবং বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে এবং ঘাড়ের চারপাশে ফ্যাটি টিস্যু হ্রাস করতে পারে।
ঘুমানোর আগে অ্যালকোহল এবং সেডেটিভ এড়িয়ে চলুন: এই পদার্থগুলি আপনার গলার পেশীতে শিথিলতা সৃষ্টি করতে পারে এবং নাক ডাকার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ভাল ঘুমের স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন করুন: একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ ঘুমের রুটিন তৈরি করুন, একটি আরামদায়ক ঘুমের পরিবেশ তৈরি করুন এবং ঘুমের গুণমান উন্নত করতে বিছানার আগে ডিজিটাল স্ক্রিন এড়িয়ে চলুন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।