শীতকালেই ফ্রেস গাজর পাওয়া যায়। এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর। তাই শীতের দিনগুলিতে আপনার পাতে নিয়মিত রাখতেই পারেন গাজর।
সারা বছরের জন্য অত্যান্ত উপকারি একটি সবজি হল গাজর। কিন্তু এটি আমাদের রাজ্যে শীলতাকেই বেশি পাওয়া যায়। বছরের অন্য সময়টা যে গাজর পাওয়া যায় তা হল মূলত কোল্ড স্টোরেজের। শীতকালেই ফ্রেস গাজর পাওয়া যায়। এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর। তাই শীতের দিনগুলিতে আপনার পাতে নিয়মিত রাখতেই পারেন গাজর। গাজর আপনি রান্না করে যেমন খেতে পারেন তেমনই একটি কাঁচাও খাওয়া যায়। স্যালাডে শীতকালে গাজর মাস্ট। গাজরের জুসও অত্যান্ত উপকারি।
গাজরের পাঁচটি উপকারিতা
রোগ প্রতিরোধ
ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে গাজরে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গাজর শ্বেত রক্তকণিকাকে উদ্দীপিত করে। এটি রোগ প্রতিরোধের বিরুদ্ধে কাজ করে।
হার্টের জন্য উপকারি
গাজর হল পটাসিয়ামের একটি ভালো উৎস, একটি খনিজ যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। তাই শীতের কটাদিন পাতে ফ্রেস গাজর রাখতেই পারেন।
হজমে সাহায্য
গাজরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এটি স্বাস্থ্যকর পাচনতন্ত্র বজায় রাখতে সাহায্য করে। অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে ফাইবার হল অপরিহার্য। গাজর কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
ওজন হ্রাস
আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে পাতে নিয়মিত গাজর রাখতে। এই সবজিতে ক্যালোরি অত্যান্ত কম। ফাইবার বেশি - যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
গাজর খাবেন কি করে
দিনের যে কোনও সময়ই গাজর খেতে পারে। কাঁচা বা রান্না করা গজর স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস গাজরের জুস কিন্তু মন্দ হয় না স্বাস্থ্যের জন্য। সালাদে গাজর রাখতেই পারেন। গাজরের স্মুদি করা যেতে পারে। গাজরের হালুয়া খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনই পুষ্টিকর।