Healthy Sleep Routine: সারাদিন কাজের মধ্যে থেকেও মনমেজাজ ভালো রাখার সেরা উপায় হলো দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যকর ঘুম। ঘুম ভালো না হলে সারাদিনই কেমন যেন শরীর আনচান করে। কীভাবে ভালো ঘুমাবেন? দেখুন ফটো গ্যালারিতে…
রাতে তাড়াতাড়ি বিছানায় গেলেও চোখে ঘুম নামছে না। নানারকম উপায় অবলম্বন করেও কাজ হচ্ছে না! তাহলে নতুন বছর শুরুর প্রথম দিন থেকে মেনে চলুন কিছু স্বাস্থ্যকর টিপস। যেগুলি আপনাকে বছরভর রাখবে চনমনে এবং ঘুমের ঘাটতিও পূরণ করবে। রাত নামলেই চোখে নামবে ঘুম।
25
ভালো ঘুমের সেরা উপায়
কোনওরকম ওষুধ না খেয়ে যদি রাতে ভালো ঘুম দিতে চান তাহলে প্রতিদিন ঘুমানোর জন্য বা ঘুমাতে যাওয়ার সময় নির্দিষ্ট রাখুন। এতে করে মন থাকবে শান্ত। মাথার ওপর চাপও কমবে ফলে ঘুমও হবে গভীর। সকালবেলা সারাদিন থাকবেন ফ্রেশ এবং চনমনে। এছাডা়ও শোবার ঘর আরামদায়ক ও অন্ধকার রাখা, ঘুমানোর আগে ইলেকট্রনিক্স এড়িয়ে চলা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, এবং ক্যাফেইন ও ভারী খাবার পরিহার করা জরুরি।
35
ঘুমের রুটিন
দৈনন্দিন জীবনে কাজের চাপে ঘুমের রুটিন তৈরি করা খুবই কঠিন একটি কাজ। কারণ অফিস-বাড়ি সামলে অনেকেই নিজের জন্য আলাদা করে একটু সময় দিতে পারেন না। তার উপর আবার ঘুমের রুটিন। কিন্তু কিচ্ছু করার নেই। আপনি যদি ভালো ঘুম দিতে চান রাতে তাহলে সবার আগে একটা ঘুমানোর রুটিন করুন। এবং অভ্যাস করুন নিয়মিত একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়ার। এতে মনসংযোগ যেমন ঠিক থাকে তেমনই মস্তিকের কার্যকারিতাও বৃদ্ধি পাই। কারণ, ঘুম ভালো যার সব ভালো তার।
নতুন বছর ২০২৬ সালের শুরুতেই জীবনযাত্রার অভ্যাস বদলে ফেলুন। মেনে চলুন স্বাস্থ্যকর রুটিন। এতে যেমন শরীর মন ভালো থাকবে তেমনই ঘুমও হবে ভালো। নতুন বছরের শুরুতে প্রতিদিন চেষ্টা করুন প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খাওয়ার। এছাড়াও নিয়ম করে দিনে অন্তত ৪ থেকে ৫ লিটার জল পান করুন। ঘুমানোর আগে ভালো বই পড়ুন। এবং ধ্যান করুন। এতে মনসংযোগের উন্নতি ঘটে। তাড়াতাড়ি ঘুমও চলে আসে।
55
অফিস-ব্যক্তিগত জীবনে ব্যালেন্স করতে শিখুন
নতুন বছরে ভালো করে ঘুম দেওয়ার জন্য সবার আগে যেটা জরুরি তা হলো অফিস-ব্যক্তিগত জীবনে ব্যালেন্স করতে শেখা। এই দুই জীবন ঘেটে ফেললে ঘুমের দফারফা হবে। ফলে শুধুমাত্র রুটিন মেনে চলা কিংবা হেলদি লাইফস্টাইল ফলো করলেই রাতে ঘুম ভালো হবে না। মাথায় অফিসের একরাশ চিন্তা নিয়ে ঘুমাতে গেলে ব্যাঘাত ঘটবে। আর ঘুম ভালো না হলে তার কুপ্রভাব এসে পড়ে ব্যক্তিগত পরিসর-জীবনে। ফলে ঘুম ভালো হওয়ার জন্য জীবনে ব্যালেন্স করে চলতে শেখাটা ভীষণ জরুরি।