Health Tips Of Beetroot: শীতকাল বা ঠান্ডার মরশুম মানেই শরীর-স্বাস্থ্য ও ত্বকের বাড়তি যত্ন নেওয়ার সময়। কারণ এই সময় শরীর শুস্ক হয়ে যায় আর ত্বক হয়ে পড়ে রুক্ষ। কিন্তু কিছু টিপস মেনে চললেই শীতকালেও ফিট থাকবেন আপনি। দেখুন ফটো গ্যালারিতে….
শীতকালের ভীষণ জনপ্রিয় একটি সবজি হলো এই লাল-লাল বিট। বিটের যেমন মিষ্টি স্বাদ তেমনই এর উপকারিতাও দারুণ। কারণ, বিট হলো এমন একটি সবজি যাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন সি, পটাসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। ফলে শীতকালে নিয়ম করে বিট বা বিটের রস পান করলে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা মেলে।
25
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বিট
বিটের মধ্যে থাকা আয়রন-পুষ্টিগুণ শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। কারণ এর মধ্যে থাকা ভিটামিন C ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শীতের সাধারণ রোগ যেমন সর্দি, কাশি ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। ফলে শরীর স্বাস্থ্য ভিতর থেকে ভালো রাখে।
35
রক্তাল্পতার সমস্যা মেটায়
যারা রক্তাল্পতার সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য উপকারি সবজি হলো এই বিট। রক্তাল্পতার সমস্যা দূর করতে এর জুড়িমেলা ভার। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে- বিট আয়রন ও ফোলেট সমৃদ্ধ হওয়ায় নতুন রক্তকণিকা তৈরি করে দেহে রক্তাল্পতার সমস্যা কমায়।
বিট যেহেতু পুষ্টিগুণে ভরপুর তাই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতেও এর অবদান অনেকখানি। শীতকালে যেহেতু ত্বক ড্রাই হয়ে যায় ফলে ত্বকের রুক্ষ-শুস্ক ভাব দূর করতে বিটের জুস পান করা যেতে পারে নিয়মিত। কারণ এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন ত্বককে শুষ্কতা থেকে বাঁচায় এবং প্রাকৃতিক গোলাপি আভা দেয়।
55
বিট ডিটক্সিফিকেশনের কাজ করে
বিট আমাদের শরীরে ডিটক্সিফিকেশনের কাজ করে। ফলে লিভারকে পরিষ্কার করে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। সুতরাং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতের মরশুমে আপনি যদি নিয়মিত খাদ্যতালিকায় বিট রাখতে পারেন তাহলে মিলবে অনেক উপকারিতা।