হলুদ আর আদার গুণেই সারবে এই রোগগুলি, খেতে হবে না মুড়িমুড়কির মত ওষুধ

Published : May 25, 2025, 07:35 PM IST
Ginger and Turmeric drink

সংক্ষিপ্ত

দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে শুধু রোগ হলেই ওষুধ নয়, প্রতিদিনের খাবারেই থাকতে হবে উপকারি উপাদান। তাই আজ থেকেই অভ্যাস করুন, পাতে রাখুন প্রকৃতির এই ‘ওষুধ’গুলো।

সম্প্রতি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা immunity বাড়ানো নিয়ে সচেতনতা অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে কোভিড-পরবর্তী সময়ে যে হারে অসুস্থতা বেড়েছে, তাতে শুধু ওষুধ বা চিকিৎসার ওপর নির্ভর না করে, নিজেই শরীরকে ভিতর থেকে প্রাকৃতিক ভাবে মজবুত করে তোলা জরুরি। ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হলে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস সহজেই শরীরে বাসা বাঁধবে। অথচ দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় কিছু সাধারণ ভেষজ উপাদান ও খাবার নিয়মিত রাখলেই এই প্রতিরোধ শক্তিকে আরও জোরালো করা যায়।

আসুন জেনে নেওয়া যাক তেমনই কিছু পরিচিত, ঘরোয়া কিন্তু অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান—

১. হলুদ: ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক ঢাল

হলুদে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। বিশেষ করে হলুদের সক্রিয় উপাদান ‘কারকিউমিন’ রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শরীরে টক্সিন জমে গেলে তা প্রতিরোধ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটায়। হলুদ সেই টক্সিন দূর করে শরীরকে ভিতর থেকে পরিষ্কার রাখে।

* অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি : হলুদের মূল সক্রিয় উপাদান হল কারকিউমিন। যার নিয়মিত সেবন শরীরের যেকোনো ধরনের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

* অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট : শরীরের কোষকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে বার্ধক্য ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।

* ইমিউনিটি বৃদ্ধি : হলুদ বিভিন্ন জীবাণু ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে সাধারণ ঠান্ডা, কাশি, জ্বর দূরে রাখে।

* হজমে সহায়ক : খাবার হজমে সাহায্য করে, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কমায়। পেট ও লিভার ভালো রাখে।

* চর্মরোগে উপকারী : ত্বকে হলুদের পেস্ট ব্যবহার করলে ব্রণ, অ্যালার্জি, র‍্যাশ ইত্যাদিতে উপকার মেলে। ত্বকে জেল্লা ফিরে আসে।

খাওয়ার উপায় : গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে পান করলে তা রাতে শরীর আরামে রাখে এবং ইমিউন সিস্টেমকে মজবুত করে। হাতে, পায়ে বা কোমরে চোট পেলে ব্যথা সারাতে হলুদ মেশানোর দুধ পান করা হয় এখনও।

২. আদা

আদা প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদ ও প্রাকৃতিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রদাহনাশী গুণ এবং শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। মানসিক চাপ বা স্ট্রেস শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে। নিয়মিত আদা খেলে এই প্রদাহ কমে এবং শরীরের সুরক্ষা দেয়ালে শক্তি আসে।

* অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও ব্যথা উপশমকারী : আদা শরীরের ব্যথা, জয়েন্টের ব্যথা ও পেশির অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে।

* হজম শক্তি বাড়ায় : হজমশক্তি উন্নত করে, বমি বমি ভাব ও গ্যাসের সমস্যা দূর করে।

* সর্দি-কাশিতে উপকারী : ঠান্ডা লাগা, কাশি, গলার ব্যথা ইত্যাদি উপসর্গে আদা দ্রুত উপশম দেয়।

* রক্ত চলাচল উন্নত করে : রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমায়।

* অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট : কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

* ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক : রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

খাওয়ার উপায় : সকালে খালি পেটে উষ্ণ জলে আদা ও লেবুর মিশ্রণ, চা-তে আদা মিশিয়ে পান করা যেতে পারে।

বিশেষ দ্রব্যষ্টঃ এই প্রতিবেদন শুধুমাত্র তথ্য সরবরাহের জন্য। সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধপথ্য খেতে হবে। 

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

রোজ প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট নিচ্ছেন! অজান্তেই কি শরীরকে ক্ষতির দিকে ঠেলে দিচ্ছেন?
Teeth Health: দাঁতের ফাঁকে খাওয়ার আটকে থাকলে কি দিয়ে পরিষ্কার করবেন টুথপিক নাকি ফ্লজ?