
আমাদের লাইফস্টাইল ও খাদ্যাভ্যাস ওজন বাড়ার জন্য দায়ী। এই কারণে বেশিরভাগ মানুষ ওজন কমানোর যাত্রায় বাইরের খাবার বন্ধ করে ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করে। কিন্তু অনেক সময় ঘরে তৈরি খাবার খাওয়ার পরেও ওজন কমে না, বরং বেড়ে যায়। আসলে, এর জন্য অনেক কারণ দায়ী হতে পারে। অনেক সময় ছোট ছোট ভুল ওজন কমানোর চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেয়। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই কারণগুলো, যা আপনার ওজন কমানোর পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
ঘরে তৈরি খাবার স্বাস্থ্যকর হওয়ার কারণে মানুষ প্রায়ই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খেয়ে ফেলে। অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া থেকে ওজন কমানো কঠিন হতে পারে। এতে ক্যালোরি ট্র্যাক করাও কঠিন হয়ে যায়। যদি আপনি সত্যিই ওজন কমাতে চান, তাহলে একটি চার্ট তৈরি করুন এবং তাতে আপনার প্রতিদিনের খাবার সম্পর্কে লিখুন। এতে আপনাকে ট্র্যাকে থাকতে সাহায্য করবে।
যদি আপনি ঘরে তৈরি খাবার খাচ্ছেন এবং মাঝে কিছু না কিছু খেতে থাকেন, তাহলে আপনার ওজন কমার বদলে বাড়তে পারে। বারবার স্ন্যাকিং করার ফলে ক্যালোরির পরিমাণ বাড়ে, যা শরীরে ফ্যাট বাড়ায়। চেষ্টা করুন বিস্কুট, চিপস, নোনতা, নুডলস এবং সিঙ্গারা না খেতে।
ওজন কমানোর জন্য সঠিক পরিমাণে ক্যালোরি গ্রহণ করা জরুরি। প্রত্যেকের শরীরের জন্য আলাদা আলাদা ক্যালোরির প্রয়োজন হয়। ভিডিও দেখে বা কোনো ইনফ্লুয়েন্সারের পরামর্শে নিজের ডায়েট চার্ট তৈরি করবেন না। কোনো স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করে ডায়েট চার্ট তৈরি করুন।
বিঞ্জ ইটিং-এ আপনি বাদাম বা ডার্ক চকোলেট খান। এই জিনিসগুলো সপ্তাহে একবার খাওয়া যেতে পারে, কিন্তু নিয়মিতভাবে বিঞ্জ ইটিং করলে ওজন বাড়তে পারে। অনেক সময় শরীরের এই জিনিসগুলোর প্রয়োজন হয়, কিন্তু বারবার বিঞ্জ ইটিং করার কারণে আপনি ওজন কমানোর পথে থাকতে পারেন না। যার ফলে আপনার ওজন কমানোর যাত্রা প্রভাবিত হতে পারে।
যদি আপনি ঘরে খাবার বানানোর সময় বেশি তেল অর্থাৎ তেল ও ঘি ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার ওজন কখনও কম হতে পারে না। নিয়মিতভাবে বেশি তেলে ভাজা পরোটা ও সবজি খেলে ওজন বাড়তে পারে। ঘরের খাবার প্রাকৃতিকভাবে পরিষ্কার ও শুদ্ধ হয়, কিন্তু তাতে বেশি তেল দিলে আপনার ক্যালোরির পরিমাণ বাড়তে পারে।
আপনি ওজন কমানোর জন্য ঘরে তৈরি খাবার খাচ্ছেন, কিন্তু শরীর কি পর্যাপ্ত পুষ্টি পাচ্ছে? অনেক সময় ওজন কমানোর চক্করে আমরা কম খাবার খাই, যার ফলে শরীরে পুষ্টির অভাব হয়। এতে শুধু ওজনই বাড়ে না, শরীরে পুষ্টিকর উপাদানেরও অভাব হয়। তাই কম ক্যালোরিযুক্ত সঠিক খাবার গ্রহণ করুন।