রোজ সকালে উঠে অন্তন ১৫-৩০ মিনিট জগিং করতে বলছেন বিশেশজ্ঞরা। এতে ফুসফুস যেমন ভাল থাকে তেমনই হার্টের পক্ষেও ভাল।
দেহের বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তা ক্রমশ বাড়ছে। ডায়েট আর ওয়ার্ক আউট করেও যেন ওজন কমছে না। বিভিন্ন টোটকার কাছে হার মেনে গেছেন। তবে যারা জিমে যেতে পারেন না বা হেভি ওয়ার্কআউট যাদের পক্ষে করা সম্ভব নয়, ওজন কমানোর জন্য জোর পায়ে হাঁটা তাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। হাঁটা শরীরের জন্য এতটাই উপকারী যে দিনের যে কোনও সময়ই হাঁটা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।
শরীরকে সুস্থ রাখতে হাঁটার যেমন কোনও বিকল্প নেই তেমনই সুস্থ ও তরতাজা শরীরের জন্য দৌঁড়ানোও খুব ভাল ফল দেয়। শরীরের কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ থেকে ওজন কমানোর জন্য জগিং দারুণ কার্যকরী। তবে ঘুম থেকে ওঠে জগিং করলেই হল না। জগিং করার সময় বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে, যা মেনে চলা দরকার। কারণ জগিং করার সময় ভুল পদক্ষেপ নিলেই শরীরে বাড়ে বিপদের ঝুঁকি। কীভাবে নিরাপদে জগিংয়ের অভ্যাস করা যায়, তা জেনে নিন বিশদে।
রোজ সকালে উঠে অন্তন ১৫-৩০ মিনিট জগিং করতে বলছেন বিশেশজ্ঞরা। এতে ফুসফুস যেমন ভাল থাকে তেমনই হার্টের পক্ষেও ভাল। জগিং করলে শরীরে সঠিক পরিমাণে অক্সিজেন পৌঁছায়,এবং বাড়তি মেদও কমে যায়।নিয়মিত জগিং করলে মেরুদন্ড ভাল থাকে। এখন বেশিরভাগই একটানা বসে কাজ করেন এতে মেরুদন্ডের ক্ষতি। তবে নিয়মিত জগিং করলে মেরুদন্ডের নানা সমস্যা দূর হয়। তবে জগিং করার সময় জুতোর দিকে খেয়াল রাখা উচিত। খুব পুরোনো জুতো পরে দৌঁড়ানো মোটেই ভাল নয়। তাই জগিং করার সময় ভাল জুতো পরার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বিপদের ঝুঁকি এড়িয়ে শরীরকে সুস্থ রাখতে ভাল জুতো পড়াটাই সবচেয়ে শ্রেয়। ঘুম থেকে উঠে জগিংয়ের শুরুতে অনেকেই ওয়ার্ম আপ করা পছন্দ করেন না। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে জগিংয়ের আগে ওয়ার্ম আপ আমাদের শরীরকে ছন্দে ফেরাতে সাহায্য করে। যার ফলে দৌঁড়ানোরও ইচ্ছা বাড়ে। বিশেষজ্ঞরাও জানাচ্ছেন, জগিংয়ের আগে ওয়ার্ম আপ করা শরীরের জন্যও ভীষণ ভাল ।জগিং করার সময় অনেকেই খুব দ্রুত দৌঁড়ান। কিন্তু জগিং করার অর্থ হল শরীরের সমস্ত পেশিকে সচল রাখা। তাই জগিং করতে করতে খুব বেশি দ্রুত দৌঁড়লে অনেক সময়েই স্পাইনে বা শরীরের অন্য কোনও অংশে ব্যথা লেগে যেতে পারে ,যা থেকে হিতে বিপরীত হতে পারে।