চোখে আঞ্জনির সমস্যায় কাবু, জেনে নিন খুব দ্রুত কীভাবে ব্যথা ও ফোলাভাব কমাবেন

Published : Aug 04, 2023, 07:52 AM IST
eye care in hindi

সংক্ষিপ্ত

চোখে ব্যথার পাশাপাশি অনেকেরই এই সময়ে চোখে পুঁজ হয়। রক্তক্ষরণও দেখা যায় অনেকের ক্ষেত্রে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, তেমন বাড়াবাড়ি হলে ঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে কিন্তু চোখ নষ্ট পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।

আঞ্জনি বা চোখের সিস্ট নামক চোখের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় স্টাই বা হর্ডিওলাম। আঞ্জনি বা আইলিড সিস্ট ভাবনা বাড়ায় বর্ষা কালেই। সাধারণত আমরা ধরে নিই, চোখে নোংরা জমে বা অপরিষ্কার জলে চোখ ধুলে এই অসুখ হয়। চিকিত্সকেরা কিন্তু বলছেন অন্য কথা। তাঁদের মতে চোখের মধ্যে অনেক ক্ষুদ্র তেল গ্রন্থি আছে। বিশেষ করে চোখের পাতায়। মৃত কোষ, ময়লা, তেল জমে ওই গ্রন্থিগুলোর মুখ বন্ধ হয়ে যায়। ব্যাকটেরিয়া গ্রন্থির ভিতরে জন্মগ্রহণ করে। ফলে চোখে আঞ্জনির মতো সমস্যা দেখা দেয়।

চোখে ব্যথার পাশাপাশি অনেকেরই এই সময়ে চোখে পুঁজ হয়। রক্তক্ষরণও দেখা যায় অনেকের ক্ষেত্রে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, তেমন বাড়াবাড়ি হলে ঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে কিন্তু চোখ নষ্ট পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। আঞ্জনি বড় সমস্যা নয়, তবে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা চোখের মারাত্মক ক্ষতি করে। যাইহোক, এটিতে সবসময় ওষুধের প্রয়োজন হয় না।

এটি কয়েক দিনের মধ্যে নিজেই সমাধান করে। আঞ্জনির কারণে চোখের ব্যথা এবং অস্বস্তি থেকে মুক্তি পেতে চাইলে কিছু ঘরোয়া প্রতিকার অনুসরণ করতে পারেন। এটি দ্রুত আঞ্জনির সমস্যার সমাধান করবে-

গরম কাপড়ের সেঁক দিন

একটি নরম কাপড় গরম করুন এবং হাত গরম করুন। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যাবে। আবার মুখে জমে থাকা তেল গ্রন্থিও শুকিয়ে যাবে। এমনকি আঞ্জনির ব্যথাও দ্রুত কমে যাবে।

মুখের লালা কার্যকরী

চোখের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মাসকারার মতো লালা লাগান ২ থেকে ৪ দিন। লালা লাগালে চোখের ব্যথা, জ্বালাপোড়া এবং চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

হট টি-ব্যাগ

আঞ্জনি সারাতে গরম টি ব্যাগও ব্যবহার করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে কালো টি ব্যাগ বেশি কার্যকর। কারণ এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি চোখের ফোলাভাব কমাতেও সাহায্য করে।

ক্যাস্টর অয়েলের ব্যবহার

চুলের বৃদ্ধির জন্য ক্যাস্টর অয়েল খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। এটি ডার্ক সার্কেলের চিকিৎসায়ও দারুণ কাজ করে। এটি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।

পেয়ারা পাতার রস

পেয়ারা পাতা দাদ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকেও ধ্বংস করে। এ জন্য গরম শুকনো পেয়ারা পাতা নরম কাপড়ে নিয়ে চোখের পাতায় ঘষে নিন। এতে স্বস্তি আসবে। আঞ্জনির সমস্যাও কমবে দ্রুত।

চোখে আঞ্জনি থাকলে বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। অন্যথায়, আক্রান্ত স্থানে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে পারে। এমনকি যদি এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি চোখের ফোলাভাব কমাতে না পারে তবে আপনার অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

PREV
click me!

Recommended Stories

এই ৬টি খাবার খেলেই দারুণ ঘুম? দেখে নিন তালিকা
ই-সিগারেট কী? কতটা বিপদ লুকিয়ে রয়েছে? E-Cigarette নিয়েই সংসদে বিতর্ক তৃণমূল-বিজেপির