
রান্নায় তেল ব্যবহার অপরিহার্য। মাছ ভাজা গরম ভাত না হলে বাঙালির রসনা তৃপ্তি হয় না। তাই ভাজাভাজির জন্যে চাই স্বাস্থ্যকর তেল। প্রয়োজন মতো তেল খাওয়া কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্যও দরকারি। অস্বাস্থ্যকর তেল ব্যবহারে নানা রকম স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই তেলের হাত ধরে হাজারও রোগ বাসা বাঁধে আমাদের শরীরে৷ তাই কোন তেল খেলে আপনার জন্য নিরাপদ হতে পারে ও স্বাস্থ্যকর তেল কোনটি? এই প্রশ্নের উত্তর আমরা সবাই খুঁজি। রান্নার জন্য বাজারজাত অনেক রকমের তেল রয়েছে, যা পরিশোধিত এবং অপরিশোধিত উভয় ভাবেই পাওয়া যায়। আর সেই গুলির সুবিধা এবং অসুবিধাও রয়েছে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে সানফ্লাওয়ার তেলে স্যাচুরেটেড ফ্যাট খুব কম আছে আবার রাইস ব্র্যান অয়েলও খুবই উপকারী৷ এতে গামা ওরাইজেনোল নামে যে রাসায়নিক আছে তা রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে৷ আবার অলিভ অয়েলে ক্সট্রা ভার্জিন ভ্যারাইটি রয়েছে যা খাওয়া খুবই ভালো৷
সর্ষের তেল কতটা উপযোগী:
সর্ষের তেলের রান্না বহু পুরনো। এছাড়াও, এই তেলের ঝাঁঝ আলাদাই হয়। অনেক সময় আলু সেদ্ধ করে অল্প কাঁচা সরষের তেল দিয়ে মেখে এক থালা ভাত নিমেষে খেয়ে ওঠা যায়। এছাড়াও, সরষে ইলিশ, পাবদা মাছ রান্না করার কথা বললেই সবার আগে এই তেলের কথা মাথায় আসে। কিন্তু বর্তমানে এই তেল খাওয়ার আগে ভাবে বহু মানুষ। কারণ আজকাল মানুষ স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন।
তাহলে আসুন দেখা যাক সর্ষের তেলের মধ্যে কি গুনাগুন আছে যেটা আমরা সহজেই গ্রহণ বা বর্জন করতে পারব:
১) সর্ষের তেলের মধ্যে রয়েছে প্রদাহ নাশক উপাদান। শরীরে অতিরিক্ত প্রদাহ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে সর্ষের তেল। যার মধ্যে অন্যতম হল বাতের ব্যথা, স্নায়ুর ব্যথা ইত্যাদি। কারণ এই তেল সব রকমের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।
২) সর্ষের তেল হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে। এই তেল রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে আপনি হার্টের রোগের থেকে কিছুটা হলেও দূরে থাকতে পারবেন।
৩) সর্ষের তেলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই ও আন্টি অক্সিডেন্ট। যা ত্বকে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি ত্বকের শুষ্কতা ভাব কমায় ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৪) সর্ষের তেল শরীরের স্বাভাবিক উষ্ণতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। তাই যদি সর্দি কাশি হয়ে থাকে তাহলে বুকে মালিশ করে উপকার পেতে পারেন আপনি। পাশাপাশি খাবারে ওই তেল খেলেও উপকার পাওয়া যায়।