
শিশুকে নিয়ম মেনে স্নান করালে ঠান্ডা লাগার ভয় নেই, বরং অপরিষ্কার থাকলে চর্মরোগ বা অন্যান্য সংক্রমণ হতে পারে, তাই শীতকালেও প্রতিদিন বা একদিন অন্তর ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করানো উচিত, তবে অবশ্যই স্নানের আগে ও পরে সঠিক প্রস্তুতি (গরম জামাকাপড়, তোয়ালে, উষ্ণ ঘর) এবং সময় (১০ মিনিটের বেশি নয়) মেনে চললে ঠান্ডা লাগার ঝুঁকি এড়ানো যায়, যা ত্বক পরিষ্কার ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
* পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: ঘাম, ধুলো, ময়লা ও অন্যান্য জীবাণু দূর করে ত্বক সুস্থ রাখে।
* রোগ প্রতিরোধ: অপরিচ্ছন্নতা থেকে হওয়া চর্মরোগ বা সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।
* মনোবল বৃদ্ধি: পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে শিশুরা সতেজ ও ফুরফুরে থাকে।
1. সঠিক জল: ঈষদুষ্ণ গরম জল ব্যবহার করুন, যা শিশুর ত্বকের জন্য আরামদায়ক।
2. উষ্ণ পরিবেশ: স্নানঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রাখুন যাতে ঠান্ডা বাতাস না ঢোকে। স্নানের আগে শিশুর গরম জামাকাপড় ও তোয়ালে হাতের কাছে রাখুন।
3. সময়সীমা: ১০ মিনিটের বেশি স্নান করাবেন না, এতে ত্বক শুষ্ক হয় না।
4. স্নানের পর: তোয়ালে দিয়ে ভালো করে মুছে সঙ্গে সঙ্গে গরম পোশাক পরিয়ে দিন।
5. স্পঞ্জিং: যদি কোনো কারণে স্নান করাতে না পারেন, তবে গরম জল ও ভেজা কাপড় দিয়ে স্পঞ্জিং করে পরিষ্কার করুন।
6. ত্বকের যত্ন: সুগন্ধিবিহীন সাবান ও লোশন ব্যবহার করুন এবং দীর্ঘক্ষণ স্ক্রাব করা থেকে বিরত থাকুন।
* শিশুর বাইরে খেলাধুলা বা কাদায় মাখামাখি হলে। * সাঁতার কাটার পর বা ঘাম হলে।
বিশেষ সতর্কতা:
* যদি শিশুর ঠান্ডা লেগে থাকে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সর্দি-কাশি থাকলেও চিকিৎসকের নির্দেশনা মেনে স্নান করানো যেতে পারে, তবে অতিরিক্ত সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
সঠিক নিয়ম মেনে চললে, শীতকালেও প্রতিদিন স্নান করালে শিশুর ঠান্ডা লাগার ভয় থাকে না, বরং তা স্বাস্থ্যকর অভ্যাস হিসেবেই গণ্য হয়।