লোভ সামলাতে না পেরে খাচ্ছেন পায়েস কিংবা বিরিয়ানি? চিন্তা নেই! ওজন বশে রাখার নয়া কৌশল

Published : Jan 29, 2025, 06:07 PM IST
roshni

সংক্ষিপ্ত

পেটুক বাঙালি খেতে ভীষণ ভালোবাসে। 

তবে সোশ্যাল মিডিয়াতে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নানা রকম পরামর্শ দেখে কি আপনি মন খুলে খেতে পারছেন না? এদিকে আবার ঘি চপচপে বিরিয়ানিও খেতেও ইচ্ছা করছে আপনার। কিন্তু এমন কি কোনও উপায় আছে? যেখানে পছন্দের খাবারের সঙ্গে আপোস না করেই ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়?

পুষ্টিবিদদের মতে, সেটা সম্ভব। তবে পদ্ধতি জেনে রাখা উচিত। খাওয়ার পরিমাপ, ক্যালোরির হিসেবনিকেশের পাশাপাশি দৈনন্দিন কয়েকটি সহজ অভ্যাসই কাজে আসতে পারেন। এখন তো আবার শীতকাল চলছে, অনেকেই এই মরশুমে পিঠেপুলি খেতে ভালোবাসেন। কারও চাই বিরিয়ানি, মোগলাই, রোল, চাউমিন। পুষ্টিবিদদের কথায়, খাবার খেতে কোনও অসুবিধা নেই। তবে কয়েকটি নিয়ম মানতে হবে।

যেমন অনেকেরই রাতে খাওয়ার শেষে মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, শেষপাতে নয়। বরং মিষ্টি খান ভারী খাবারের বেশ কিছুক্ষণ পরে।

সকালে জলখাবার খাওয়ার পরেও খেতে পারেন। আবার সন্ধ্যাবেলাও একটি মিষ্টি খাওয়া যায়। তবে খাবার পর মিষ্টি খেলে, একসঙ্গে অনেকটা ক্যালোরি শরীরে যাবে।

আর তারপরই ঘুমিয়ে পড়ার ফলে, সেই ক্যালোরি খরচ হওয়ার সময় পাবে না। কিংবা কেউ যদি পিঠেপুলি বা পায়েস খেতে চান, তাহলে রাতে আর অন্য খাবার নয়। শুধু পায়েস বা শুধু পিঠে খেতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রেও মাপ বুঝে খেতে হবে।

বিরিয়ানি বা ভাজাভুজি ভালো লাগতেই পারে। তবে পরিমাপ বুঝতে হবে সবার। নিয়মিত এইসব খাবার খাওয়া যাবে না। উৎসব-অনুষ্ঠানে কখনও ভীষণ খেতে ইচ্ছা করলেও চলতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে এক থালা বিরিয়ানি নয়, খেতে হবে তার অর্ধেক বা এক-তৃতীয়াংশ।

রোল এমন সময়ে খান, যার কিছুক্ষণ পর খানিকটা হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। অনেকে আবার ইডলি, ধোসা বা সাউথ ইন্ডিয়ান খাবার খেতে ভালোবাসেন। এগুলি যথেষ্ট স্বাস্থ্যকর এবং ক্যালোরির পরিমাণও বেশ কম। অন্যদিকে, সোশ্যাল মিডিয়াতে পুষ্টিবিদ সালেয়া বাহাজ়ির একটি পোস্টে লিখেছেন, শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক থাকলে চট করে ওজন বৃদ্ধির সম্ভবনা থাকে না।

তাঁর পরামর্শ, খাওয়ার আগে জল দিয়ে সামান্য অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার খেতে হবে। এতে খাবারের শর্করা শরীরে অনেকটা কম শোষিত হয়। যা ওজন বশে রাখতে সাহায্য করে। খাওয়ার পর হাঁটা এবং খাওয়ার পর, অন্তত ১৫ হাঁটা বা হালকা শরীরচর্চার পরামর্শ দিচ্ছেন সালেয়া।

তার ফলে, শরীরে অতিরিক্ত গ্লুকোজ খরচ হয়ে যাবে এবং মেদ জমতে পারবে না। এদিকে আবার নিয়মিত ইসবগুল খেতে বলছেন সালেয়া। এতে পেট পরিষ্কার হয়। ইসবগুলে থাকা ফাইবারের জন্য শরীরে গ্লুকোজের শোষণ কম হয় বলেও জানাচ্ছেন তিনি। এর ফলে ওজনকে বশে রাখা সহজ হয়।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
click me!

Recommended Stories

চারিদিকে এই সময় কঞ্জান্টিভাইটিসের সংক্রমণ বাড়ছে, চোখ বাঁচিয়ে চলবেন কীভাবে জানুন
শীতকালীন অবসাদ জানেন কী হয়? মন ভালো করতে কেক বা চকলেট নয়, করুন এই কয়েকটি উপায়