
ঠান্ডায় ত্বকের চুলকানি সাধারণত ঠান্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ও আর্দ্রতা কমে যাওয়ার কারণে হয় তা "শীতের চুলকানি" নামে পরিচিত। এর প্রধান কারণ হলো শুষ্ক ত্বক, যা থেকে ত্বক রুক্ষ, ফাটা এবং অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে। প্রতিকারের জন্য, গরম জল ব্যবহার এড়িয়ে, নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে, এবং ত্বককে হাইড্রেটেড রেখে এই সমস্যা কমানো যায়।
* শুষ্ক ত্বক: ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাস ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ও আর্দ্রতা কেড়ে নেয়, যার ফলে ত্বক শুষ্ক, রুক্ষ ও চুলকানিযুক্ত হয়ে ওঠে।
* কম আর্দ্রতা: শীতকালে ঘরের ভেতরের গরম করার যন্ত্র (heater) ব্যবহার করলে বায়ুমণ্ডল আরও শুষ্ক হয়ে যায়, যা ত্বকের আর্দ্রতা আরও কমিয়ে দেয়।
* প্রাকৃতিক সুরক্ষা স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া: ত্বকের উপরিস্থ স্তরে থাকা সিরামাইড ও লিপিডের মতো উপাদানগুলো একটি প্রাকৃতিক সুরক্ষা স্তর তৈরি করে। ঠান্ডা আবহাওয়ায় এই স্তর দুর্বল হয়ে পড়লে ত্বকের জলীয় অংশ বেরিয়ে যায়।
* গরম জল: খুব গরম জল ব্যবহার করলে ত্বক থেকে প্রাকৃতিক তেল দূর হয়ে যায়, যা শুষ্কতা ও চুলকানি বাড়িয়ে তোলে।
* প্রতিকার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার: প্রতিদিন, বিশেষ করে স্নানের পর, একটি ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
হালকা গরম জল ব্যবহার: খুব গরম জলে স্নান করা থেকে বিরত থাকুন। হালকা গরম জল ব্যবহার করুন।
ত্বক হাইড্রেটেড রাখা: পর্যাপ্ত জল পান করে এবং হাইড্রেটিং খাবার খেয়ে ত্বককে ভেতর থেকে ময়েশ্চারাইজড রাখুন।
সঠিক পোশাক পরা: ঠান্ডা আবহাওয়ায় ত্বককে আরামদায়ক ও সুরক্ষিত রাখতে নরম, সুতির কাপড় পরুন।
হিউমিডিফায়ার ব্যবহার: যদি সম্ভব হয়, ঘরে একটি হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন, যা ঘরের বাতাসকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন যদি চুলকানি খুব বেশি হয়, ত্বকে ফোলা বা লালচে ভাব দেখা দেয়, অথবা ক্ষত তৈরি হয়, তবে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।