
বাজির শব্দ ও দূষণ থেকে শিশুদের সুস্থ রাখতে কালীপুজোর সময় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। আতসবাজি থেকে নির্গত ধোঁয়া বাতাসে সালফার ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড এবং নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডের মতো অনেক ক্ষতিকারক উপাদান ছড়ায়।
শিশুদের বাইরে খেলতে দেওয়া থেকে বিরত রাখুন এবং মাস্ক পরান। বাড়ির দরজা-জানালা বন্ধ রাখুন, এবং প্রচুর পরিমাণে জল পান করাতে সাহায্য করুন। স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে প্রদীপ বা অন্যান্য আলো ব্যবহার করুন এবং যতটা সম্ভব বাজি পোড়ানো থেকে বিরত থাকুন।
** শিশুদের কেন সতর্ক থাকা জরুরি জানেন কি??
* বাজির ধোঁয়ায় থাকা সালফার ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড এবং নাইট্রোজেন অক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাস শিশুদের ফুসফুসের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
* এই গ্যাসগুলি শ্বাসকষ্ট, কাশি, এবং গলার জ্বালার কারণ হতে পারে।
* অ্যালার্জি বা অ্যাজমা আছে এমন শিশুদের জন্য এই দূষণ আরও মারাত্মক হতে পারে।
** কী কী করলে শিশুদের ঠিক রাখা যাবে?
* বাজির ব্যবহার কম করুন: যতটা সম্ভব, বাজির ব্যবহার কমান বা সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলুন।
* বাইরে বেরোনো সীমিত করুন: দূষণ বেশি থাকলে শিশুদের বাইরে খেলতে যেতে দেবেন না।
* মাস্ক ব্যবহার করুন: যদি বাইরে যেতেই হয়, তাহলে শিশুদের জন্য ভালো মানের মাস্ক ব্যবহার করুন।
* দরজা-জানালা বন্ধ রাখুন: বাজির ধোঁয়া যাতে বাড়িতে ঢুকতে না পারে, তার জন্য বাড়ির দরজা-জানালা বন্ধ রাখুন।
* পর্যাপ্ত জল পানের ব্যবস্থা করুন: শিশুরা যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করে তা নিশ্চিত করুন।
* পরিবেশকে পরিষ্কার রাখুন: কালীপুজোর পর বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার করে রাখুন, যাতে বাজি পোড়ানোর কোনো অবশিষ্টাংশ না থাকে।
** কী ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত?
* নজর রাখুন: আপনার শিশুর শ্বাসকষ্ট বা অন্য কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা হচ্ছে কিনা, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
* বিশেষভাবে সতর্ক থাকুন: যে শিশুদের আগে থেকেই অ্যাজমা বা অ্যালার্জির সমস্যা আছে, তাদের বিশেষ যত্ন নিন।
* ডাক্তারের পরামর্শ নিন: কোনো সমস্যা দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।