
যোগব্যায়াম কেবল শরীরকেই নয়, মনেরও স্বাস্থ্য ভাল রাখে। শরীরে ভারসাম্য বজায় রাখে। রামদেবের মতে, নিয়মিত যোগব্যায়াম হজম ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে এবং অন্ত্রের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কোষ্ঠকাঠিন্য এবং গ্যাসের সমস্যা কমায়। তাছাড়া যোগব্যায়াম মানসিক চাপ কমায়, যা পেটের সমস্যার একটি প্রধান কারণ।
গ্যাস ও অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করতে যোগব্যায়াম, বিশেষ করে বজ্রাসন, পবনমুক্তাসন এবং শবাসন উপকারী হতে পারে। এছাড়াও, কিছু ঘরোয়া টোটকা যেমন ঠান্ডা দুধ, এলাচ, আদা, পুদিনা, বা জিরা জল পান করা এবং মশলাদার ও তৈলাক্ত খাবার পরিহার করা উপকারী হতে পারে।
* বজ্রাসন: এটি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে। পদ্মাসনে বসার পর, পা দুটিকে ভাঁজ করে নিতম্বের নিচে রাখতে হয়।
* পবনমুক্তাসন: এই আসনটি পেটের গ্যাস বের করে দিতে সাহায্য করে। চিৎ হয়ে শুয়ে, একটি হাঁটু বুকের কাছে টেনে এনে পেটের উপর চাপ দিতে হবে।
* শবাসন: এটি শরীরকে শিথিল করতে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে, যা গ্যাস ও অ্যাসিডিটির একটি বড় কারণ।
** ঘরোয়া প্রতিকার :
* ঠান্ডা দুধ: ঠান্ডা দুধে থাকা ক্যালসিয়াম পাকস্থলীতে অ্যাসিড তৈরি প্রতিরোধ করে এবং গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে।
* এলাচ: এলাচ হজম ক্ষমতা বাড়ায় এবং অতিরিক্ত অ্যাসিড নিঃসরণ কমায়। দুটি এলাচ গুঁড়ো করে জলে ফুটিয়ে পান করলে উপকার পাওয়া যায়।
* আদা: ১ চামচ আদার রস, ১ চিমটি গোলমরিচ গুঁড়ো এবং সামান্য লবণ মিশিয়ে খেলে তাৎক্ষণিক উপকার পাওয়া যায়।
* জিরা জল: জিরা সেদ্ধ করা জল হজম ভালো করে ও গ্যাস কমায়।
* পুদিনা পাতা: পুদিনা পাতার রস খেলে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
** খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারা কেমন রাখবেন:
* মশলাদার ও তৈলাক্ত খাবার: এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলো অ্যাসিডিটি এবং গ্যাস সৃষ্টি করতে পারে।
* ক্যাফেইন, অ্যালকোহল ও চিনিযুক্ত পানীয় এগুলো কমিয়ে দিন বা এড়িয়ে চলুন।
* গভীর রাতে খাবার: রাতে বেশি খাবার বা গভীর রাতে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
* নিয়মিত শরীরচর্চা: নিয়মিত ব্যায়াম করলে গ্যাসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু জিনিস : যদি অ্যাসিডিটির সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী বা গুরুতর হয়, তবে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।