
বিজয়ার পরে মিষ্টি খাওয়ার কারণে দাঁতের ক্ষতি এড়াতে এবার করতে হবে কিছু যত্ন। নাহলে পড়তে হবে দাঁতের সমস্যায়। তাই যখনই মিষ্টি খাবেন,খাওয়ার পর জল দিয়ে কুলকুচি করুন আর দাঁত ব্রাশ করুন। এবং চিনিযুক্ত খাবার কম খান। দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে ও এনামেল সুস্থ রাখতে এবং মুখের ব্যাকটেরিয়ার অ্যাসিড তৈরি করে দাঁতের ক্ষতি করা থেকে বাঁচাতে এই অভ্যাসগুলি জরুরি।
* জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন: মিষ্টি খাওয়ার পর জল দিয়ে কুলকুচি করলে মুখের মধ্যে লেগে থাকা চিনির কণা পরিষ্কার হয়ে যায় এবং অ্যাসিডের মাত্রা কমে আসে।
* ডেন্টাল ফ্লস ও মাউথওয়াশ ব্যবহার করুন : ব্রাশ যত ভালোই করুন, দাঁতের ফাঁকে থাকা খাবারের অংশ বের করা কঠিন। তাই দিনে একবার ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করুন। এরপর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল মাউথওয়াশ দিয়ে মুখ ধুলে ব্যাকটেরিয়া কমে যায় এবং শ্বাস থাকে সতেজ।
* মিষ্টির পরিমাণে সংযম আনুন: মিষ্টি খাওয়া মানেই দাঁতের ক্ষতি এমন নয়, তবে অতিরিক্ত খেলে ক্ষতি হবেই। দিনে ১-২টি ছোট মিষ্টির বেশি না খাওয়াই ভালো। বিশেষ করে চটচটে মিষ্টি যেমন—লাড্ডু, পেড়া বা গুড়ের মিষ্টি—এগুলো দাঁতে বেশি লেগে থাকে, তাই এড়িয়ে চলুন বা পরে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
* ফাইবারযুক্ত খাবার খান : ফল, সবজি, শসা, আপেল বা গাজরের মতো ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার প্রাকৃতিকভাবে দাঁত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এগুলো চিবানোর সময় লালা নিঃসরণ বাড়ায়, যা মুখের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।
* দাঁত ব্রাশ করুন: মিষ্টি খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের উপরিভাগ থেকে খাদ্যকণা দূর হয় এবং এনামেলের ক্ষয় রোধ হয়।
* চিনিযুক্ত খাবার কম খান: অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে দাঁত সংবেদনশীল হতে পারে। তাই যতটা সম্ভব মিষ্টি খাওয়া কমানো উচিত।
* মুখের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন: মিষ্টি খাওয়ার পর এবং অন্যান্য খাবারের পরে দাঁত ব্রাশ করা ও ফ্লসিং করা গুরুত্বপূর্ণ।
* নিয়মিত দাঁতের পরীক্ষা করান: দাঁতের যেকোনো সমস্যা এড়াতে নিয়মিত ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে দাঁত পরীক্ষা করানো উচিত।
* দাঁত ব্যথার কারণ: মিষ্টিতে থাকা চিনি মুখের ব্যাকটেরিয়াকে অ্যাসিড তৈরি করতে উৎসাহিত করে। এই অ্যাসিড দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে, যার ফলে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে ওঠে এবং ব্যথা করে।