ভারতীয়দের মধ্যে প্রতি ৫ জনের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যুতে দায়ী ক্যান্সার! ক্যানসার ঠেকানোর উপায়..

Published : Feb 28, 2025, 02:26 PM IST
Research, stock photo

সংক্ষিপ্ত

আইসিএমআর সমীক্ষা অনুসারে, তামাক সেবন এবং দূষণের কারণে পুরুষদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সার এবং মুখের ক্যান্সারের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার কারণে পাকস্থলী এবং বৃহদন্ত্রের ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ছে।

দেশে বেড়েই চলেছে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা । ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) দাবি করেছে, প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে তিন জনের মৃত্যুর জন্য দায়ী ক্যানসার। ২০২২ থেকে চালানো এই সমীক্ষায় গবেষখদের দাবি, ক্যানসারে মৃত্যুর হার ৬৪.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০৯.৬ শতাংশে। মনে করা হচ্ছে বিপদসীমা ছাড়াবে ২০৫০ সালের মধ্যে।  আইসিএমআর সমীক্ষা অনুসারে, তামাক সেবন এবং দূষণের কারণে পুরুষদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সার এবং মুখের ক্যান্সারের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার কারণে পাকস্থলী এবং বৃহদন্ত্রের ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ছে। শিশুদের মধ্যেও ক্যান্সারে আক্রান্তের হার উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার মূল কারণ অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস এবং শারীরিক কার্যকলাপের অভাব।

ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধির কারণ হিসেব বলা হচ্ছে:

তামাক সেবন এবং দূষণ: ফুসফুস এবং মুখের ক্যান্সারের প্রধান কারণ।

অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস: প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ফাস্টফুডে উপস্থিত রাসায়নিক পদার্থ ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

শারীরিক কার্যকলাপের অভাব: নিয়মিত ব্যায়াম না করা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

প্রাণীদের হরমোন ইঞ্জেকশন: প্রক্রিয়াজাত মাংসের স্বাদ বাড়াতে প্রাণীদের বিশেষ হরমোন ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়, যা মানবদেহের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে করণীয়:

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস: সুষম খাবার গ্রহণ করুন, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ফাস্টফুড এড়িয়ে চলুন।

নিয়মিত ব্যায়াম: প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন।

তামাক এবং দূষণ এড়িয়ে চলুন: ধূমপান ত্যাগ করুন এবং দূষণমুক্ত পরিবেশে থাকার চেষ্টা করুন।

নিয়মিত স্ক্রিনিং: ৩০ বছর বয়সের পর নিয়মিত স্ক্রিনিং টেস্ট করান।

স্ক্রিনিং টেস্ট:

মহিলাদের জন্য:

প্রতি মাসে স্তন পরীক্ষা।

প্রতি বছর ম্যামোগ্রাম টেস্ট।

প্যাপ টেস্ট।

পুরুষদের জন্য:

পিএসএ টেস্ট (প্রস্টেট স্পেসিফিক অ্যান্টিজেন টেস্ট)।

শিশুদের জন্য সতর্কতা:

শিশুদের সুষম খাবার খাওয়ান এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে দূরে রাখুন।

শিশুদের নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপের জন্য উৎসাহিত করুন।

তবে গবেষকরা মনে করছেন যে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে জীবনযাত্রার পরিবর্তন এবং নিয়মিত স্ক্রিনিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস, নিয়মিত ব্যায়াম এবং তামাক ও দূষণ এড়িয়ে চলার মাধ্যমে কমানো সম্ভব ক্যান্সারের ঝুঁকি ।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
click me!

Recommended Stories

শরীরের ওজন কমাতে প্রতিদিন কতগুলি করে শসা খাওয়া প্রয়োজন জানেন কি?
ওজন কমাতে চিনির বদলে গুড় কি হতে পারে সঠিক উপায়? আসুন জেনে নেওয়া যাক