একজন মহিলার পিরিয়ড দেরী হলে তার পিছনে কারণ থাকতে পারে যেমন মানসিক চাপ, ওজন হ্রাস, স্থূলতা, PCOD, গর্ভনিরোধক ব্যবহার, থাইরয়েড ইত্যাদি। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ বৈদ্য মিহির খাত্রী বলেছেন পিরিয়ড আনার আয়ুর্বেদিক প্রতিকার।
মহিলাদের প্রতি মাসে ৪ থেকে ৭ দিন পিরিয়ডের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এই সম্পূর্ণ চক্রটি ২৮ দিনের। তবে অনেক ক্ষেত্রে এটি ১-২ দিন বাড়তে বা কমতে পারে। কিন্তু যখন পিরিয়ড চক্র বেশি বেড়ে যায় তখন তাকে অনিয়মিত পিরিয়ড বলে। পিরিয়ড দেরিতে আসার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে।
পিরিয়ড দেরী হওয়ার কারণ-
একজন মহিলার পিরিয়ড দেরী হলে তার পিছনে কারণ থাকতে পারে যেমন মানসিক চাপ, ওজন হ্রাস, স্থূলতা, PCOD, গর্ভনিরোধক ব্যবহার, থাইরয়েড ইত্যাদি। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ বৈদ্য মিহির খাত্রী বলেছেন পিরিয়ড আনার আয়ুর্বেদিক প্রতিকার।
পিরিয়ড আনতে ঘরোয়া উপায়-
৩-৪ চা চামচ (১৫-২০ গ্রাম) কালো তিল নিন
এতে ৪ কাপ জল দিয়ে ফুটিয়ে নিন
এই জল এক কাপ হলে তা ছেঁকে নিন
এবার এতে ১-২ চামচ গুড় মিশিয়ে পান করুন
অনিয়মিত পিরিয়ডের চিকিৎসা কিভাবে করবেন?
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, পিরিয়ড দেরী হলে সকালে খালি পেটে এই আয়ুর্বেদিক ক্বাথ সেবন করুন। এটি পান করার প্রায় আধা ঘন্টা পরে জল ছাড়া অন্য কিছু খাবেন না বা পান করবেন না। মাসিক না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন এই প্রতিকার করুন।
অনিয়মিত পিরিয়ডের প্রতিকার-
অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা থাকলে প্রতি মাসে এই প্রতিকারটি করতে পারেন। যখনই আপনার পরবর্তী প্রত্যাশিত তারিখ থাকবে, তার এক সপ্তাহ আগে এই আয়ুর্বেদিক প্রতিকার গ্রহণ করা শুরু করুন। তিন থেকে চার পিরিয়ডের মধ্যে এটি গ্রহণ করলে পিরিয়ড নিয়মিত হয়ে যাবে। এই ক্বাথ পিরিয়ড ক্র্যাম্প থেকেও মুক্তি দেয়।
এই নিবন্ধটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। এটি কোনোভাবেই কোনও ওষুধ বা চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না। আরও বিস্তারিত জানার জন্য সর্বদা আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।