জয়েন্ট ডিজঅর্ডারের ক্রমবর্ধমান সমস্যা, বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের মধ্যে উদ্বেগের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। জয়েন্ট সমস্যা হওয়ার কারণ হল মোবাইল ফোনের অত্যধিক ব্যবহার । আধুনিক যুগে জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে মোবাইলফোন।
অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারে খুব খারাপ। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে স্মার্টফোনের বেশি ব্যবহারে নানা ধরনের রোগের সম্ভাবনা তৈরি হয়। স্মৃতিশক্তি কমে যায়। যে কোনও জিনিস শেখার আগ্রহ কমে যায়। এই সমস্যা শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা দেয়। তবে সম্প্রতি একটি গবেষণায় জানা গেছে স্মার্টফোনের ব্যবহার বাতের ব্যাথা বাড়িয়ে দেয়। মেরুদণ্ড ও ঘাড়ের সমস্যা দেখা দেয়। সমস্যা তৈরি হয় লিগামেন্টের।
সাম্প্রতিক সময়ে, জয়েন্ট ডিজঅর্ডারের ক্রমবর্ধমান সমস্যা, বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের মধ্যে উদ্বেগের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। জয়েন্ট সমস্যা হওয়ার কারণ হল মোবাইল ফোনের অত্যধিক ব্যবহার । আধুনিক যুগে জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে মোবাইলফোন। অফিসের কাজে ব্যবহার করছে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছে, বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সাথে সংযোগ স্থাপন করছে এবং তাদের দৈনন্দিন প্রয়োজন যেমন অ্যালার্ম, কেনাকাটা ইত্যাদির জন্য মোবাইলফোন একটি অপরিহার্য অংশ। মোবাইল ফোনের দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার একজন ব্যক্তির উপর বিভিন্ন উপায়ে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে ।
১. দিনে তিন থেকে চার ঘণ্টার বেশি মোবাইল ফোন দেখলে ঘাড় আর কাঁধে ব্যাথার কারণ হতে পারে। শুয়ে থাকা অবস্থায় মোবাইল দেখলে তা আরও ক্ষতিকর হতে পারে।
২. অস্টিওআর্থারাইটসের ঝুঁকি বাড়ায় অতিরিক্ত মোবাইলফোনের ব্যবহার। প্রথম কার্পোমেটাকারপাল জয়েন্টের অস্টিওআর্থারাইটিস হতে পারে। এটি তরুণদের মধ্যে দেখা যায়। যদিও একটা সময় এই রোগ শুরুমাত্র বৃদ্ধদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।
৩. মোবাইলফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে হাতের কবজিতে ব্যাথা হতে পারে। হাত নাড়াচাড়া করতেও সমস্যা হয়। অনেক সময় চিকিৎসকের কাছে পর্যন্ত যেতে হয়।
৪. অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার করায় কনুইয়ের সমস্যা তৈরি হতে পারে। কনুইয়ে ব্যাথাও হতে পারে।
৫. যে শিশুরা মোবাইল গেম খেলে দীর্ঘ সময় কাটায় তাদের হ্যান্ড-আর্ম ভাইব্রেশন সিন্ড্রোম (HAVS) নামক অবস্থার বিকাশ ঘটতে পারে। বাচ্চারা যখন মোবাইল ব্যবহার করে এবং অনেক ঘন্টা গেম খেলে তখন তাদের হাতে অতিরিক্ত ব্যথা হয়।
৬. অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার হাত ও কবজিতে ব্যাথা করে দেয়। হাত অনেক সময় তুলতে নামাতে সমস্যা হয়। যা ক্ষতিকর বলেও মনে করেন চিকিৎসকরা।
এছাড়াও অতিরিক্ত মোবাইল ফোনের ব্যবহার চোখের ক্ষতি করে। ঘুমের ব্যাঘাত করে। যা স্বাস্থ্যের জন্য পরবর্তীকালে মারাত্মক হতে পারে। মোবাইলফোনের ব্যবহার কমাতেই পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। প্রয়োজনে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।