কলা এমন একটি ফল যা বারো মাসই পাওয়া যায়। ভিটামিন আর খনিজে ভরপুর এই ফল খেতে পরামর্শ দেন চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদরা। কিন্তু সব মৌসুমের মতো এই ফল কি শীতেও সমানভাবে খাওয়া যায়? এই নিয়ে একাধিক ধারণা চালু রয়েছে।
শীতে শুধু গরম পোশাক পরেই নয়, শরীরকে ভিতর থেকেও গরম রাখা দরকার। তাই এই মরসুমে দরকার এমন ফল যা শরীর গরম রাখতে ভূমিকা রাখবে। সেই হিসেবে কলা কতটা উপকারী বা আদৌ উপকারী কিনা তা নিয়ে ধন্ধ রয়েছে সাধারণ মানুষের মনে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, কলায় প্রচুর ভিটামিন এবং খনিজ দ্রব্য রয়েছে। এতে রয়েছে শরীরের জন্য উপকারী ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাসিয়াম, ফাইবার।
কলা অত্যন্ত সুষম ফল। সারা বছরই পাওয়া যায়। কলা খেলে পেট ভরার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে দারুণ শক্তি পাওয়া যায়।
হজমে দারুণ সাহায্য করে কলা। বিশেষ করে শীতকালে ঠান্ডার জন্য শরীর চর্চা কম হয়, তাই হজম অনেকসময় ব্যাহত হয়। কিন্তু শীতে কলা খেলে পরিপাকতন্ত্রও পুষ্ট হয়।
কলায় থাকা উচ্চ খনিজ উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।
কলায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকায় তা হাড়ের জোর বাড়ায়। ঠান্ডায় অনেকেই হাড়ের ব্যথায় ভোগেন। এমন ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে কলা।
সারাদিনে নিয়ম করে একটা বা দুটো কলা খেলে ঘুমও ভালো হয। অনিদ্রা দূর করতে সহায়তা করে কলায় থাকা ম্যাগনেশিয়াম।
পুষ্টিবিদদের মতে, কলায় প্রচুর গুণ থাকলেও শীতকালে এই ফল খাওয়ার জন্য কিছু সাবধানতা দরকার।
কলা ঠান্ডা ফল। এটি শরীর ঠান্ডা করে। যার ফলে যাদের ঠান্ডা লাগার সমস্যা আছে তাঁরা শীতকালে কলা এড়িয়ে চলতে পারেন।
সর্দিতে মিউকাসের কারণে শ্বাসনালীতে সমস্যা হয়। সে কারণে এসময় রাতের দিকে কলা না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।