
Super Food: বিভিন্ন স্বাদে বাজারে সহজেই মিলছে এই জনপ্রিয় খাদ্য। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ওজন কমানোর লক্ষ্য থাকলে মাখানাকে যতটা ‘হেলদি’ ভাবা হয়, আদতে তার সবটাই সত্যি নয়।‘মেটাবলিক হেল্থ কোচ’ শারিন তার সমাজ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেন, যেখানে ওজন ঝরানো ও রক্তে শর্করার মাত্রায় মাখানার প্রভাব নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। সেখানেই তিনি নিজের ওপর মাখানা খাওয়ার প্রভাব করে তার ফলাফল প্রকাশ করেছেন। শারিনের দাবি, ‘‘আমি ৩০ গ্রাম মাখানা খাওয়ার আগে এবং ২ ঘণ্টা পরে আমার রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করেছিলাম। দেখলাম আমার রক্তে শর্করার মাত্রা ৭৬ পয়েন্ট বেড়ে গিয়েছে। যা কিনা অনেকখানি বেশি!’’
ব্যাখ্যা :
৩০ গ্রাম মাখানায় প্রোটিন রয়েছে কেবলমাত্র ৫ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট রয়েছে ২৩ গ্রাম, আর ফাইবার কেবল ৪.৫ গ্রাম। যদি ওজন কমানোর জন্যই আপনি মাখানা খাচ্ছেন, তবে আপনাকে কার্বোহাইড্রেটে খাওয়া কমিয়ে ডায়েটে প্রোটিনের মাত্রা বাড়াতে হবে। আর, সেরম হলে কার্বোহাইড্রেট একেবারে বাদ না দিয়ে, এমন কিছু খান যাতে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা কম ফাইবারের মাত্রা বেশি থাকে। এমনটাই পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদেরাও। সুতরাং মাখানার পুষ্টিগুণ এর তালিকা ও পুষ্টিবিদদের পরামর্শ অনুযায়ী, মাখানায় ফাইবার কম, কার্বোহাইড্রেটের হার অনেকটাই বেশি। প্রতি ৩০ গ্রামে ১৮.৫ গ্রাম কার্ব।
এতে কিভাবে ক্ষতি হতে পারে বা কী কী ক্ষতি হতে পারে?
শাহিনের কথা অনুযায়ী, ৩০ গ্রাম মাখানো খাবার আগে ও দু'ঘণ্টা পর রক্তের শর্করার মাত্রা পরিমাপ করে দেখেছিলেন, মাখানা খেলে রক্তের শর্করার পরিমাণ অনেকটা বেড়ে যায়। ওজন কমানো তো দূর বরং ইনসুলিন রেসিস্টেনস বাড়িয়ে দেয়। কারণ রক্তে শর্করা বেশি হলে ইনসুলিন তাকে নিয়ন্ত্রণ করে।
১। রক্তে শর্করা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে সেই ইনস্যুলিন আর কাজ করে না। ফলে শর্করা শরীরে মেদ হিসাবে জমতে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই ওজনও বাড়বে তাতে।
২। আর নিয়মিত ইনস্যুলিনের কাজে ব্যাঘাত ঘাটলে তা টাইপ ২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে।
৩। শরীরে ইনস্যুলিনের কাজ যথাযথ না হলে রক্তে গ্লুকোজ় থেকে যাবে। তা থেকে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল বৃদ্ধি, পেট এবং কোমরের আশেপাশে মেদ জমা এমনকি হার্টের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
৪। হঠাৎ করে ডায়েট তালিকায় নিয়মিত মাখানা খাওয়া শুরু করলে, রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যায়। এতে মিষ্টি খাবার খাওয়ার ইচ্ছে আরও বাড়বে, যা শরীরের ক্ষতি আরও বেশি বৃদ্ধি করবে।
তবে কী করতে পারেন?
শারিনের বলেন, ‘‘ওজন কমানোর জন্য যখন আমরা শর্করার মাত্রা কমিয়ে প্রোটিন বেশি খাওয়ার চেষ্টা করছি, তখন মাখানা কেন খাব! প্রোটিন বেশি আর কার্বোহাইড্রেট কম খেতে হলে নুন ছাড়া বাদাম খাব কিংবা ডাল খাব। কারণ তাতে অনেক বেশি প্রোটিন আছে। শর্করা রয়েছে কম।’’