প্রাথমিকভাবে জিকা ভাইরাসের লক্ষণ হালকা হতে পারে। কিন্তু শরীরে ভাইরাস বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর উপসর্গ তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।
দেশে আবার করোনাভাইরাস ও ডেঙ্গুর ঘটনা সামনে আসছে, এদিকে জিকা ভাইরাসের ঘটনাও বাড়ছে। বিশেষ করে মুম্বাইয়ে জিকা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কা তৈরি করছে। জিকা ভাইরাস একটি মশা দ্বারা ছড়ায়। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির প্রথমে প্রচণ্ড জ্বর, তারপর শরীর ব্যথা ও মাথাব্যথা হয়। কিছু ক্ষেত্রে, জিকা মানুষের স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করে।
প্রাথমিকভাবে জিকা ভাইরাসের লক্ষণ হালকা হতে পারে। কিন্তু শরীরে ভাইরাস বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর উপসর্গ তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।
জিকা ভাইরাসের লক্ষণ-
জ্বর
চুলকানি
জয়েন্টে ব্যথা
পেশী ব্যথা
মাথাব্যথা এবং ক্লান্তি
বমি
চুলকানি
শীত করা
ক্ষুধামান্দ্য
জিকা ভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণগুলো এক সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে। অনেকে আক্রান্ত হওয়ার এক সপ্তাহ পর জানতে পারেন। প্রস্রাব ও রক্ত পরীক্ষা করার পর জানা যায় ওই ব্যক্তির জিকা ভাইরাস আছে কি না। এডিস মশার কামড়ে জিকা ভাইরাস ছড়ায়। এডিস মশা জমা জলে জন্মায়। এডিস মশা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে কামড়ালে তা তার রক্তের মাধ্যমে স্থানান্তরিত হয়। আর তখনই জিকা ভাইরাস হয়।
জিকা ভাইরাস প্রতিরোধের টিপস
জিকা ভাইরাস এড়াতে চাইলে মশার কামড় এড়িয়ে চলুন
ঘরের চারপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখুন, মশা বাড়বে না
এই ঋতুতে ফুল হাতা পোশাক পরুন
বিছানা বা মশারির নীচে ঘুমান
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান
নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন এবং জুস বা নারকেল জল পান করতে থাকুন।