জলের নেশা: অতিরিক্ত জল খেলেই মৃত্যু? Water Poisoning নিয়ে সতর্ক করলেন চিকিৎসকরা

Published : Aug 09, 2024, 04:37 PM IST
UN report on Packaged drinking water bottle

সংক্ষিপ্ত

অতিরিক্ত জল পানের ফলে হাইপারহাইড্রেশন বা জলের বিষক্রিয়া হতে পারে। এই অবস্থা শরীরে তরলের ভারসাম্য নষ্ট করে এবং বমি বমি ভাব, মাথাব্যথা, ক্লান্তি, পেশী দুর্বলতা ইত্যাদি লক্ষণ প্রকাশ পায়।

জলের বিষক্রিয়া, অত্যাধিক জল খেলে এই রোগ থেকে বাঁচতে পারবেন না। এই রোগের অপর নাম জলের নেশা। হাইপারহাইড্রেশনও বলে। রক্তে জলের তুলনায় ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ইলেক্ট্রোলাইটগুলি হল সোডিয়াম, পটাসিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ যা শরীরের তরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং সঠিক স্নায়ু এবং পেশীর কার্যকারিতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।

আমরা যখন প্রচুর পরিমাণ জল পান করি তখন তা শরীরে প্রবেশ করে রক্ত পরিস্রুত করে। তখন কিডনি জল ফিল্টার করে প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়। যা অতিরিক্ত জলে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে। রক্তে ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রাকে পাতলা করতে পারে। কিন্তু প্রচুর জল থেলে শরীরে তরলের ভারসাম্য নষ্ট হয়।

শরীরে জলের বিষক্রিয়ার লক্ষণঃ

বমি বমি ভাব এবং বমি

মাথাব্যথা

ক্লান্তি

পেশীর দুর্বলতা

হাত ও পায়ে ক্র্যাম্প

খিঁচুনি

অনেক সময় জলের বিষক্রিয়া থেকে মস্তিষ্ক ফুলে যেতে পারে।

রোগের আশঙ্কা

অ্যাথলেট এবং লোকেরা যারা কঠোর শারীরিক পরিশ্রম করে।তারা হাইড্রেটেড থাকার জন্য বেশি জল পান করে। উপরন্তু, কিডনি রোগ বা হার্ট ফেইলিউরের মতো নির্দিষ্ট কিছু রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও অতিরিক্ত জল পান করা বিপদজ্জনক। শিশুদের মধ্যেও এজাতীয় রোগের সম্ভাবনা থাকে।

জল পানের পরিমাণ

প্রাপ্তবয়স্কদের দিনে ৩-৪ লিটার জলপানের প্রয়োজন রয়েছে। যারা অত্যাধিক ঘামে বা বাইরে কঠোর পরিশ্রম করে তাঁরা প্রয়োজনে লেবুর সরবত পান করতে পারেন। প্রচুর পরিমাণে ফল খেতে পারেন। শিশুদের দিনে ২-৩ লিটার জলপানের প্রয়োজন রয়েছে। প্রস্রাবের মাত্রার দিকে লক্ষ্য রাখা জরুর।

প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে জলপানের মাত্রা নির্ধারণ করুন।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

ভুল করেছিলেন চিকিৎসক, AI-এর সঙ্গে মাত্র ২ মিনিটের আড্ডা, তাতেই প্রাণ বাঁচাল এক ব্যক্তির!
কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এমন খাবার