ইলিস বা চিংড়ি দিয়ে যেমন রান্না করা হয়, তেমনই নিরামিষ রান্নাও হয়। যে কোনও ভাবে খাওয়া যায়। অনেকে অবার মাছের ঝোল বা চচ্চড়ি রান্না করেও পুঁইশাক খায়।
যে কোনও শাকই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে পুঁই শাকের স্বাস্থ্য উপকারিতে একটু বেশি বলা যেতে পারে। সাধারণত সারা বছরই পশ্চিমবঙ্গে পুঁইশাক পাওয়া যায়। কিন্তু বর্ষাকালে তাজা , লকলকে মোটা পুঁই শাক পাওয়া যায়। ইলিস বা চিংড়ি দিয়ে যেমন রান্না করা হয়, তেমনই নিরামিষ রান্নাও হয়। যে কোনও ভাবে খাওয়া যায়। অনেকে অবার মাছের ঝোল বা চচ্চড়ি রান্না করেও পুঁইশাক খায়। নিয়মিক পুঁইশাক খেতেই পারেন। তবে অনেক সময় নানা অসুস্থতা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই এটি খান। বাঙালি বাড়িত নিত্য়দিনের শাক সবজির তালিকায় অবশ্যই পড়ে পুঁইশাক।
পুঁই শাকের উপকারিতাঃ
এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। যা পাকস্থলী বা কোলেন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে।
পুঁইশাক ত্বকের ব্রণের সমস্যা কমাতে পারে।
পুঁই শাদ বদহজম, গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করতে পারে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছে পুঁই শাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাতে। এটি হাড় মজবুত করে। এটি বাতের ব্যাথা কমাতে পারে। তবে যাদের অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড রয়েছে তাদের পুঁইশাক খেতে নিষেধ করেন চিকিৎসকরা।
পুঁইশাক কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে পারে। এটি পাইলস বা ফিসচুলার সমস্যা থেকে সায়মিক রেহাই দেয়।
পুঁই শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সিও আয়র রয়েছে। এটি ক্যারলি কমাতে সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞদের কথায় পুঁইশাক বার্ধক্য আসতে দেয় না। এটি যৌবন রাখতে সাহায্য করে।
পুঁই শাক রক্ত শোধন করতে পারে। মাইছ আলসার প্রতিরোধ করতে পারে। অ্যানিমিয়া নিরাময় করতে পারে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খণিজ রয়েছে।
তবে আপনার যদি কোনও সমস্যা থাকে তাহলে চিকিৎসকের মতামত নিয়েই পুঁইশাক খাবেন।