কোলেস্টেরলেও উপকারী ইসবগুল। ইসবগুল নিয়মিত খেতে হবে। তারজন্য কতগুলি নিয়ম মানতে হবে।
ইসবগুলের ভুসি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু এটির ঠিক কতটা পরিমাণে আর কী করে খেতে হয় তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই সংশয় রয়েছে। একটি একটি ফাইবার। যাদের কষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তারা এটি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। এটি ঘরোয়া প্রতিকারগুলির মধ্যে অন্যতম। তবে শুধু কষ্ঠকাঠিন্য নয়, ওজন কমানোর জন্য এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমান বিশ্বে কোলেস্টেরল একটি বড় সমস্যা। এই রোগীর সংখ্যা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোলেস্টেরলের মূল কারণই হল জীবনধারা আর খাদ্যাভ্যাস। প্রক্রিয়াজত খাবারও কোলেস্টেরলের একটি বড় কারণ। কোলেস্টেরল মানব দেহে স্থূলতা বাড়ায়। একই সঙ্গে হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়।
এই পরিস্থিতিতে খাদ্যতালিকায় ঘি, চর্বি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার বাদ দিতে হবে। একই সঙ্গে কোলেস্টেরল থাকলে নিয়মিত ইসবগুলের ভুঁসি খেতেই পারেন। তাতে উপকার পাবেন।
হাই কোলেস্টেরলের জন্য ইসবগুল
আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনের প্রকাশিত একটি গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে ইসবগুলের ভুঁসি কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এটি খারাপ কোলেস্টেরলের লিপিড প্রোফাইল কমাতে সাহায্য করে।
ইসবগুলের উপকারিতা
১. ইসবগুল মলের সঙ্গে খারাপ কোলেস্টেরল নির্গত করতে পারে। ইসবগুলের স্টার্চ গ্লুটেন গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি যখন পাকস্থলীতে প্রবেশ করে তখন খারাপ কোলেস্টরল, চর্বি, ট্রাইগ্লিসারাইড ধারণকারী লিপিডগুলি ফাইবার কণার মাধ্যমে মলের সঙ্গে বেরিয়ে যায়।
২. পিত্ত অ্যাসিড ও কোলেস্টেরল শোষণ করে
ইসবগুলের গুঁড়ো শরীরে জলের সঙ্গে মিশে ঘন জেল তৈরি করে । তারপর সেটি পিত্ত অ্যাসিড কোলেস্টরল শোষণ করে ও রক্তনালীগুলি পরিষ্কার করে। এটি উচ্চ কোলেস্টরলের জন্য খুব উপকারী।
ইসবগুলের ডোস-
গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রতিদিন ১০ গ্রাম ইসবগুলের ভুঁসি খাওয়া যেতে পারে। নিয়মিত খেলে তিন সপ্তাহের মধ্যে কিছুটা উপকার পাবেন। রাতে শুতে যাওয়ার আগে জলে ১ চামচ ইসবগুলের ভুঁসি মিশিয়ে নিন। তারপর সেটি খান। সকালে ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস জল পান করুন। এটাই নিয়মিত করতে পারলে উপকার পাবেন।
তবে সবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।