গর্ভাবস্থা প্রতিটি মেয়ের শরীরে দেখা দেয় নানান পরিবর্তন। টক, আম, আচার এই সব খাবারের প্রতি গর্ভবতী মহিলারা আগ্রহী হয়ে থাকেন।
গর্ভাবস্থ প্রতিটি মেয়ের জন্য সুন্দর সময়। এই সময় সকলেই নিজের সকল পছন্দ অপছন্দ ত্যাগ করে বাচ্চার দিকে বেশি খেয়াল রাখেন। তার বিকাশের জন্য নানান পদ্ধতি নিয়ে থাকেন। তেমনই গর্ভাবস্থা প্রতিটি মেয়ের শরীরে দেখা দেয় নানান পরিবর্তন। টক, আম, আচার এই সব খাবারের প্রতি গর্ভবতী মহিলারা আগ্রহী হয়ে থাকেন।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতি ত্রৈমাসিকে গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তন হয়। এর হরমোনের পরিবর্তনের জন্য কখনও খিদে বাড়ে। তেমনই কখনও বিশেষ বিশেষ খাবার খাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। এই সময় অনেকেরই টক খেতে ইচ্ছা করে। অনেকেই আচার খেয়ে থাকেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, আচারে আছে লেবু কিংবা গাজরের মতো উপদান। এই সকল খাবারে আছে ভিটামিন সি ও কে। এগুলো খেলে শরীরে কোনও সমস্যা হয় না। তবে, আপনি যদি বেশি পরিমাণে এমন খাবার খেয়ে থাকেন, তা শরীরে সমস্যা তৈরি হতে পারে। আচার খাওয়ার ইচ্ছা হলে জেনে নিন তা কতটা পরিমাণ খাওয়া উচিত।
তেমনই আচার তৈরিতে তেল ও মশলা ব্যবহার করে থাকেন। তাই অধিক আচার খাবেন না। গর্ভাবস্থায় এটি অতিরিক্ত আচার খাওয়া মা ও বাচ্চা উভয়ের স্বাস্থ্যহানীর কারণ হতে পারে। অধিক তেল ও মশলা গর্ভবতী মহিলা ও শিশুর ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এই সময় অতিরিক্ত আচার নয়।
তেমনই আচারে থাকে নুন। যা শরীরে সোডিয়ামের স্তর বাড়িয়ে দিতে পারে। গর্ভাবস্থায় প্রতিটি মেয়ের শরীরে নানান জটিলতা দেখা দেয়। এই সময় সকলেরই হরমোনের স্তরের পরিবর্তন হয়। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে অধিক আচার খাবেন না। এটি বাড়াতে পারে শারীরিক জটিলতা। তাই এই সময় টক খান পরিমিত।
তেমনই এই সময় রোজ ৭ থেকে ৮ গ্লাস জলপান করা আবশ্যকের প্লাস্টিকের বোতল থেকে জল পান করা এড়িয়ে চলুন। প্লাস্টিকের বোতল থেকে জল খেলে সেই বোতলে থাকা রাসায়নিক পদার্থ জলের সঙ্গে মিশে যায়। তা স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাবে ফেলে। তেমনই রোজ প্রোটিন, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, খনিজ পূর্ণ খাবার খান। এটি স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাবে। গর্ভবতী মহিলা ও বাচ্চা উভয়ে রাখবে সুস্থ। সঙ্গে যে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এতে মিলবে উপকার। দূর হবে নানান শারীরিক জটিলতা। বাচ্চা ও মা উভয় ভালো থাকবে।
আরও পড়ুন-
খাদ্যতালিকায় যোগ করুন নারকেল তেল, মিলবে ছয় উপকার, জেনে নিন কোন উপায় মিলবেউপকার