ইউরিক অ্যাসিডে আম খাওয়া কতটা উপকারী। জানুন বাতের সমস্যা বাড়বে কিনা। টিপস দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ।
গ্রীষ্মকাল মানেই আমের মরশুম। বছরের এই সময়টা আম পাওয়াও যায়। আর মানুষ আম খেতে ভালবাসে। এই ফলটি শুধু যে সুস্বাদু তাই নয়, এটি অত্যান্ত উপকারী । রসে পরিপূর্ণ থাকে বলে গরমের তৃষ্ণাও মেটায় এই ফল। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যাদের ইউরিক অ্যাসিড রয়েছে তাদের জন্য এই ফল কতটা উপকারী। অনেকেই মনে করেন ইউরিক অ্যাসিডে আম খাওয়া অত্যান্ত উপকারী। কেউ আবার বলেন আম খাওয়া বিপজ্জনক। তবে পুষ্টিবিদ অশ্বনী কুমার ইউরিক অ্যাসিডে আম কতটা উপকারী তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
পুষ্টিবিদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী আমে চিনির পরিমাণ অত্যান্ত বেশি থাকে। তাই এটি শরীরে রক্তে শর্করা বাড়়িয়ে তুলতে পারে। যারা প্রচুর আম খায় তাদের ফ্রুক্টোজ শুধুমাত্র রক্তে শর্করা বাড়ায় না, এটি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়। যা লিভারের সমস্যার দিকে নিয়ে যেতে পারে। এই সমস্যা হলে বাতের ব্যাথা আরও বেড়ে যায়।
একজন বাতের রোগীর ক্ষেত্রে ফ্রুক্টোজ বৃদ্ধি আপনার বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ শরীরে যখন ফ্রুক্টোজ ভেঙে দেয় তখন পিউরিন নিঃসৃত হয়। পিউরিনের আধিক্য ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে তুলে প্রদাহ ব্যাথা বাড়িয়ে দিতে পারে।
আম একটি মরশুমি ফল। তাই এই ফল খাওয়ার কিছু উপকারিতা রয়েছে। কিন্তু যার ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা রয়েছে সে যদি বেশি আম খায় তাহলে বাতের ব্যাথা আরও বাড়বে। তাই ইউরিক অ্যাসিড যাদের রয়েছে তারা পরিমিত আম খেতে পারে। গরমকালে অর্থাৎ যতদিন আম পাওয়া যায় ততদিন সপ্তাহে একটি বা সপ্তাহে দুটি আম তারা খেতে পারেন।
তবে নিয়মিত আম খেতে পারবেন না ইউরিক অ্যাসিডে আক্রান্তরা। থেকে পারবেন না আমের সরবত বা আমের অন্য কোনও খাবারও। তাতেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে ইউরিক অ্যাসিডে আক্রান্তরা আমের পানা, আম পোড়ার সরবতের মত খাবারগুলি মাঝেমধ্যে গরমকালে খেতে পারেন। তাতে শরীর ঠান্ডা হবে। গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে পারেন।