বিশেষজ্ঞদের কথায় মধু প্রাকৃতিক মিষ্টি। এজাতীয় মিষ্টি খাওয়ার কথা চিকিৎসকরাও বলে থাকে- তবে অল্প পরিমাণে। তাই অনেকেই চিনিকে মধুর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করেন।
ডায়াবেটিক রোগীদের মিষ্টি খেতে নিষেধ করা হয়। কিন্তু ডায়াবেটিক রোগীদের মধ্যে মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বেসি থাকে। অনেকেই মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু জানেন কি ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য মধু খাওয়া কতটা উপকারী। এটি কী স্বাস্থ্যের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে- এই প্রশ্নও অনেকের থাকে।
বিশেষজ্ঞদের কথায় মধু প্রাকৃতিক মিষ্টি। এজাতীয় মিষ্টি খাওয়ার কথা চিকিৎসকরাও বলে থাকে- তবে অল্প পরিমাণে। তাই অনেকেই চিনিকে মধুর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করেন।
ডায়াবেটিল রোগঃ
ডায়াবেটিস হল এমন একটি রোগ যাতে শরীরের অভ্যন্তরে ইনসুলিন উৎপাদন কমে যায় বা বন্ধ হয়ে যায়। এই ইনসুলিন শরীরের গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে। ইনসুলিন তৈরি না হওয়ায় চক্র দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকলে তবেই আমরা ডায়াবেটিসের শিকার হই। পাশাপাশি ডায়াবেটিসের কারণে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞদের কথায় ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা পরিমাণ মত মধু খেতেই পারেন। এটি চিনির থেকে অনেকটা নিরাপদ। প্রদাহরোধী ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের কারণে মধু ডায়াবেটিস রোগীদের এটি উপকারী। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এটি কম ব্যবহার করা উচিত, কারণ এতে গ্লাইসেমিকও রয়েছে। তবে চিনির তুলনায় মধুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকে। এ ছাড়া মধুতে রয়েছে ভিটামিন সি, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদির মতো অনেক ভিটামিন ও খনিজ উপাদান।
মধুর উপকারিতা
ডায়াবেটিসে মধু খাওয়া ভাল, তবে পরিমাণ মত খেতে হবে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। মধু খাওয়া অ্যান্টি- ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
ডায়াবেটিসে মধুর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
টাইপ ২ ডায়াবেটিশে আক্রান্ত রোগীদের জন্য মধুর ব্যবহার ক্ষতিকর হতে হবে। এটি যেকোনও ধরনের সংক্রমণ বাড়ায়. বাজারে ভেজাল মধু রয়েছে। যাতে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। সেটি কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।