
Fetal Medicine: শিশুদের ক্লেফট লিপ কিংবা ক্লেফট প্যালেট অথবা ক্লাব ফুট কিংবা জন্মগত হার্টের ত্রুটি থেকে শুরু করে থ্যালাসেমিয়া, ডাউন সিন্ড্রোম, এমনকী ডোয়ার্ফিজম বা বামনত্বের মতো রোগ জন্মগত। এক-দেড় দশক আগেও এই সব জন্মগত রোগগুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জন্মের পরেই জানা সম্ভব হত। কিন্তু এখন ফিটাল মেডিসিনের অগ্রগতিতে গর্ভাবস্থাতেই এই সব রোগের প্রায় ৯০ শতাংশই শনাক্ত হয়ে যাচ্ছে। শহরে সম্প্রতি আয়োজিত একটি আলোচনাসভায় এমন কথাই উঠে এল। সোমবার মাদারহুড হাসপাতাল আয়োজিত ক্লিনিক্যাল কনফারেন্সে চিকিৎসা বিজ্ঞানের আধুনিক এই শাখার সুবিধা তুলে ধরেন ফিটাল মেডিসিনের বিশেষজ্ঞরা। কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেছিলেন হায়দরাবাদের ফার্নান্ডেজ় হাসপাতালের চিকিৎসক মাইমুনা আহমেদ। তিনি যথাযথ পদ্ধতি মেনে স্বাভাবিক প্রসবের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন। বেঙ্গালুরুর মাদারহুড হাসপাতালের ফিটাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ শ্রুতি আর জানান, জন্মের আগেই জটিল রোগ ধরা পড়লে শিশুর প্রাণ বাঁচানো ও স্বাভাবিক জীবনে ফেরানোর সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গর্ভধারণের ১১-১৪ সপ্তাহেই প্রি-এক্লাম্পসিয়ার ঝুঁকি শনাক্ত করে প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা দিলে জটিলতা ৬০-৮০ শতাংশ পর্যন্ত রোগ প্রতিরোধ করা যায়। নিরাপদ জেনেটিক পরীক্ষায় ডাউন সিনড্রোমের মতো সমস্যাও আগেভাগে শনাক্ত করা যায়। গর্ভের মধ্যেই রক্ত সঞ্চালন বা টুইন-টু-টুইন ট্রান্সফিউশনের মতো চিকিৎসায় শিশুকে বাঁচানোর হার এখন ৭০-৯০ শতাংশ। গর্ভাবস্থাতেই ৯০ শতাংশ শিশুর হার্ট ও জন্মগত ত্রুটি শনাক্ত করা সম্ভব।
শিশুর সুস্থতার জন্য গর্ভাবস্থায় মায়ের যত্ন জরুরি। মা সুস্থ থাকলে তবেই সন্তান সুস্থভাবে ভূমিষ্ঠ হতে পারে এবং পরবর্তীকালে সুস্থভাবে জীবন কাটাতে পারে। রোগ জটিল আকার ধারণ করার আগেই নির্ণয় করাও জরুরি। ঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় করতে পারলে শিশুকে সুস্থ রাখা সম্ভব। এই কারণে ফিটাল মেডিসিন অত্যন্ত জরুরি। চিকিৎসকরা এখন এ বিষয়ে জোর দিচ্ছেন। চিকিৎসা ও রোগ নির্ণয়ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, মত চিকিৎসকদের।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।