শসা খাওয়ার সময় কখনই ফেলে দেবেন না এর খোসা, কমাবে ওজন-ত্বক হবে চাঁদের মত উজ্জ্বল

গ্রীষ্মের মৌসুমে এর চাহিদা বেড়ে যায়, কারণ এতে জলের পরিমাণ বেশি থাকে, যা শরীরে জলশূন্যতার ঝুঁকি কমায়, কিন্তু আমরা সবসময় শসা খোসা ছাড়িয়ে খাই, যা খাওয়ার সঠিক উপায় নয়।

Web Desk - ANB | Published : Mar 24, 2023 3:47 PM IST

এই গরমে সবসময়ই শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিছু সবজি আছে যা স্যালাড আকারে খাওয়া হয়। শসার মত সেই সবজি স্যালাড অথবা শুধু খেতেও ভালো লাগে। শসার গুণ সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। গরমে শসা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। শসায় প্রচুর পরিমাণে জল থাকে যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। শসার মধ্যে অনেক ধরনের ভিটামিন, মিনারেল এবং ইলেক্ট্রোলাইট পাওয়া যায়। শসা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। শসা খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায় এবং হজমশক্তি ভালো থাকে। গ্রীষ্মের মৌসুমে এর চাহিদা বেড়ে যায়, কারণ এতে জলের পরিমাণ বেশি থাকে, যা শরীরে জলশূন্যতার ঝুঁকি কমায়, কিন্তু আমরা সবসময় শসা খোসা ছাড়িয়ে খাই, যা খাওয়ার সঠিক উপায় নয়।

খোসা সহ শসা খাওয়ার উপকারিতা

আমরা শসা খোসা ছাড়িয়ে ফেলি এবং ডাস্টবিনে সেই খোসা ফেলে দিই, কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে এতেও প্রচুর পুষ্টি রয়েছে। আসুন জেনে নিই খোসা না ফেলে খোসা সমেত শসা খেলে কী কী উপকার পাওয়া যায়।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পাবে

যাদের দৃষ্টিশক্তি কম বা দেখার সমস্যা রয়েছে তাদের নিয়মিত খোসা সহ শসা খাওয়া উচিত। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে যা কেবল দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে না, অন্ধত্বের মতো রোগও প্রতিরোধ করে। ফলে চোখের সমস্যার জন্য অবশ্যই খোসা সমেত শসা খাওয়া উচিত।

ত্বক উজ্জ্বল হবে

শসার খোসা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়, কারণ এতে ভিটামিনের সাথে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড রয়েছে, যা অক্সিডেটিভ ক্ষতি প্রতিরোধ করে। যার কারণে মুখে আশ্চর্যজনক আভা দেখা যায়। শসার খোসা ফেলে না দিয়ে তা মুখে লাগিয়ে নিন। ত্বকে মিলবে উজ্জ্বলতা।

ওজন কমাতে

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে, খোসা সহ শসা খাওয়া খুব কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে কারণ এটি খুব কম ক্যালোরির খাবার, বিপাক বৃদ্ধি করে, পাশাপাশি খিদে্ মেটায় দমন করে, যা ওজন কমানোর জন্য প্রয়োজনীয়। .

হার্টের জন্য ভালো

খোসার সাথে শসা খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায় বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। আসলে এতে রয়েছে ভিটামিন কে, যা রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়, যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়, সেই সঙ্গে রক্তনালীকে সুস্থ রাখে।

Share this article
click me!