লেবুর জল উপকারী। কিন্তু নিত্যদিন খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। একাধিক স্বাস্থ্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে ঢক ঢক করে লেবুর সরবত বা লেবু খাচ্ছেন- ভাবছেন স্বাস্থ্য ভাল থাকবে, অ্যালার্জি, সর্দি কাশির মত সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে, ওজন ঝরবে? কিন্তু আপনি জানেনও না নিজের অজান্তেই কতবড় বিপদ ডেকে আনছেন। বিশেষজ্ঞদের কথায় লেবু জল স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য হতেই পারে। কিন্তু প্রতিদিন লেবু জল পান করার কতগুলি পার্শ্বপতিক্রিয়া রয়েছে- যা যে কোনও মানুষের জন্যই পবিপজ্জক হতে পারে।
আসুন দেখেনি প্রতিদিন লেবু জল খাওয়া পার্শ্বপতিক্রিয়া কী হতে পারে-
দাঁতের সমস্যাঃ
লেবু জলে অত্যান্ত অম্লীয় পদার্থ থাকে। এটি প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পান করলে দাঁতের এনামেল ক্ষয়ে যেতে পারে, যা দাঁতের সংবেদনশীলতা ও অন্যান্য দাঁতের সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হল লেবু জল পানের পর অবশ্যই ভাল করে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
অম্বল অ্যাসিড রিফ্লাক্সঃ
লেবুর জল পাকস্তলীর অ্যাসিড উৎপাদন বাড়াতে পারে। যা কিছু মানুষের জন্য অম্বল ও অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনার যদি অ্যাসিডের সমস্যা থাকে তাহলে নিত্যদিন লেবু জল খাওয়া নিয়ে সতর্ক হওয়া জরুরি।
ডিহাইড্রেশনঃ
লেবুর জল আপনার শরীরকে হাইড্রেট করতে সাহায্য করে। তবে এটি খুব বেশি পান করলে বিপরীত প্রভাব হতে পারে। লেবুর জল একটি প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক, যার অর্থ এটি প্রস্রাবের উৎপাদন বাড়াতে পারে, পরিমিত পরিমাণে না খেলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে।
পেট খারাপঃ
লেবুর জল থেকে কিছু লোকের পেট খারাপ হতে পারে। বিশেষ করে যাদের পেট সংবেদনশীল বা হজমের সমস্যা রয়েছে। এর ফলে বমি বমি ভাব দেখা যায়। গা হাতপা ফুলে যেতে পারে। ডায়েরিয়ার মত সমস্যা দেখা যাবে।
ত্বকের জ্বালাঃ
লেবু জল সরাসরি ত্বকে লাগলে জ্বালা হতে পারে। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে রাসায়নিক পোড়াও হতে পারে। লেবুর রস আপনার ত্বকে প্রয়োগ করার আগে জল দিয়ে পাতলা করে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। লেবুর জল লাগানোর পরই সূর্যের আলোতেও দাঁড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ওষুধের সঙ্গে লেবু জলের বিরোধিতাঃ
নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ রয়েছে যার সঙ্গে লুবের জলের তীব্র বিরোধিতা রয়েছে। অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে লেবুর জলের সম্পর্ক খারাপ। তাই অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ জরুরি।
এই সতর্কতাগুলি অনুসরণ করে আপনি লেবু জলের সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলি হ্রাস করা যেতে পারে। যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি হতে পারে।