
শীতের দূষণ থেকে ফুসফুসকে রক্ষা করতে আমলকি, তুলসী, আদা, গাজর এবং বিট খুব উপকারী। কারণ এগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রদাহ-বিরোধী এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী উপাদান সমৃদ্ধ। আমলকি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, তুলসী শ্বাসনালীর প্রদাহ কমায়, আদা জীবাণু ও প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে, গাজর ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে এবং বিট ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।
১. আমলকি : আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।যা ফুসফুসকে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। হাঁপানি বা সিওপিডির মতো ফুসফুসের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে যদি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়ে। তা কমিয়ে সুরক্ষা বর্ম তৈরি করতে পারে আমলকি। ছোট্ট ফলটির গুণের শেষ নেই। ভিটামিন, খনিজ মেলে প্রচুর।
২. তুলসী : তুলসীর মধ্যে প্রদাহ-বিরোধী উপাদান রয়েছে। যা ফুসফুসের শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে এবং বায়ু চলাচলের পথকে প্রসারিত করতে সাহায্য করে। এটি কাশি ও শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে। তুলসী পাতা ফোটানো জল কিংবা তুলসীর রস ঘরোয়া টোটকা হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে বহু দিন। তুলসীর পুষ্টিগুণ নেহাত কম নয়।
৩. আদা : আদার মধ্যে প্রদাহনাশক এবং জীবাণুনাশক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি ফুসফুসের প্রদাহ কমাতে এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।এটি জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতাও বাড়ায়।
৪. গাজর : গাজর ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ। এটি ফুসফুসের স্বাস্থ্য উন্নত করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি স্যুপ বা অন্যান্য শীতকালীন খাবারে ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫. বিট: বিটের মধ্যে থাকা বিটেইন এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি শরীরের ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে দিতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।