আগে পরিবারের প্রবীণরা মাটিতে বসে খাবার খেতেন। মাটিতে বসলে শরীরের অগণিত উপকার মেলে এমনটা নয়। তবে আয়ুর্বেদ মেঝেতে বসে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক মাটিতে বসে কি কি উপকার পাওয়া যায়।
পরিবর্তিত জীবনধারা এবং পরিবর্তিত সময়ের মধ্যে, অনেক পুরানো দিনের ঐতিহ্য ভুলে গিয়েছি আমরা। তার মধ্যে একটি হল মাটিতে বসে খাবার খাওয়ার অভ্যাস। যারা মাটিতে বসে কাজ করেন তারা অবশ্যই অনুভব করতে পারবেন যে মাটিতে বসে কাজ করার আরাম আলাদা। আগে পরিবারের প্রবীণরা মাটিতে বসে খাবার খেতেন। মাটিতে বসলে শরীরের অগণিত উপকার মেলে এমনটা নয়। তবে আয়ুর্বেদ মেঝেতে বসে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক মাটিতে বসে কি কি উপকার পাওয়া যায়।
মাটিতে বসার উপকারিতা-
হজমের উন্নতি হয়
সুখাসন, একটি যোগব্যায়াম ভঙ্গি যাতে কেউ মেঝেতে আড়াআড়িভাবে বসে থাকে, হজমের উন্নতিতে সাহায্য করে। খাওয়ার জন্য যখন আমরা আমাদের প্লেট মাটিতে রাখি, তখন আমাদের শরীরকে খানিকটা এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় এবং তারপরে আমরা আমাদের আসল অবস্থানে ফিরে আসি। বারবার শরীর নাড়াচাড়া করলে পাকস্থলীর মাংসপেশিতে উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়, যার ফলে পাকস্থলীতে হজমকারী এনজাইমের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যার ফলে খাবার ভালোভাবে হজম হতে শুরু করে।
মেরুদণ্ড শক্তিশালী হয়-
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, মেরুদণ্ড সুস্থ রাখতে চাইলে মাটিতে বসে থাকা উচিত। এটি করার মাধ্যমে আপনি স্থিতিশীল বসেন এবং আপনার মেরুদণ্ডে কোন চাপ নেই। মাটিতে বসে আপনার মেরুদণ্ডের গঠনও উন্নত করে।
মেঝেতে বসলে মন শান্ত হয় -
পদ্মাসন এবং সুখাসন ধ্যানের জন্য আদর্শ ভঙ্গি। এই আসনগুলো মন থেকে চাপ দূর করতে সাহায্য করে। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই ভঙ্গিতে বসলে শরীরে অক্সিজেনের প্রবাহ বেড়ে যায়।
মেঝেতে বসলে নমনীয়তা বাড়ে -
আপনি যখন মেঝেতে বসেন, তখন আপনার শরীরের নীচের পেশীগুলি প্রসারিত হয়, যা আপনার শরীরের নমনীয়তা বাড়ায় এবং আপনার পায়ে শক্তি দেয়। বসা নিতম্ব, পা এবং মেরুদণ্ড প্রসারিত করে, যা শরীরে প্রাকৃতিক নমনীয়তা প্রচার করে।
নিতম্বের পেশী শক্তিশালী-
নিতম্বের পেশী আপনার স্থিতিশীলতা এবং ভারসাম্য প্রভাবিত করে। আপনার নিতম্ব দুর্বল হলে মাটিতে বেশি বসুন। মাটিতে বসলে আপনার নিতম্বের পেশী শক্তিশালী হবে এবং আপনার কোরও শক্তিশালী হবে।
দীর্ঘায়ু -
মেঝে থেকে 'উঠে ও বসার' ক্ষমতা দীর্ঘায়ু উন্নত করে। এটি আপনার সামগ্রিক নড়াচড়াকেও স্থিতিশীল করে।