
খুব একটা সব রান্নায় ব্যবহৃত না হলেও সব রান্নাঘরেই খোঁজ মিলবে জায়ফলের। নিরামিষ আমিষ অনেক পদের স্বাদ ও গন্ধই ম্যাজিকের মতো বাড়াতে পারে এই মশলা। তবে জানেন কি, এই সুগন্ধি মসলায় রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, হরমোন নিয়ন্ত্রণকারী যৌগ, প্রদাহ কমানোর উপাদান, যা নারীদের দৈনন্দিন বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা সহজেই উপশম করতে পারে।
সীমিত পরিমাণে জায়ফল খাওয়া সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে এবং মহিলাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কেন জায়ফল মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
১। পিরিয়ড নিয়ন্ত্রণ
জায়ফলে প্রাকৃতিক যৌগ রয়েছে যা হরমোনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যা নিয়মিত পিরিয়ড না হওয়া মহিলাদের জন্য উপকারী।
২। পিরিয়ডের ব্যথা কমায়
জায়ফলের মধ্যে উপস্থিত প্রদাহ-বিরোধী এবং পেশী শিথিলকারী বৈশিষ্ট্য পিরিয়ডের সময় ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। জায়ফল খেলে পেট ফাঁপা, মেজাজের পরিবর্তন এবং ক্লান্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৩। ত্বকের জন্য উপকারী
জায়ফলের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ব্রণর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের প্রদাহ কমায়। প্রতিদিন জায়ফল খেলে ত্বক পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল হয়।
হৃদপিণ্ডের জন্য উপকারী
৪। জায়ফলের মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি যৌগগুলি রক্তচাপ কমাতে এবং হহৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমায় এবং ধমনীতে প্লাক তৈরি রোধ করে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। জায়ফলের মধ্যে এমন যৌগও রয়েছে যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৫। হাড়ের জন্য
জায়ফলের মধ্যে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো খনিজ পদার্থ থাকে, যা হাড়কে শক্তিশালী করে এবং অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করে, যা মহিলাদের মধ্যে একটি খুব সাধারণ রোগ। এটি হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং মহিলাদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি কমায়।
সতর্কতা
যেকোনো কিছুই বেশি পরিমাণে গ্রহণ করলে তা থেকে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। জায়ফল অত্যন্ত উপকারী হলেও, অতিরিক্ত খেলে এতে থাকা মাইরিস্টিসিন (Myristicin) নামক যৌগ স্নায়ুর উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই দিনে এক চিমটের বেশি না খাওয়াই ভালো।