Sustainable Diet: 'সাসটেনেবল ডায়েট ' কি জানেন ? বহুল চর্চায় এই ডায়েট এখন, জানুন বিস্তারিত

Published : Sep 09, 2025, 01:46 AM IST
Sustainable Diet: 'সাসটেনেবল ডায়েট ' কি জানেন ? বহুল চর্চায় এই ডায়েট এখন, জানুন বিস্তারিত

সংক্ষিপ্ত

Sustainable Diet: সাসটেইনেবল ডায়েট বা টেকসই খাদ্যাভ্যাস হলো এমন এক ধরনের খাদ্যতালিকা যা বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্য পুষ্টি, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশগত স্থিতিশীলতা বজায় রাখে। বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

Sustainable Diet:  সাসটেইনেবল ডায়েট বা টেকসই খাদ্যাভ্যাস হলো এমন এক ধরনের খাদ্যতালিকা যা বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্য পুষ্টি, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশগত স্থিতিশীলতা বজায় রাখে। এটি মূলত উদ্ভিদ-ভিত্তিক, যাতে প্রচুর পরিমাণে ফল, শাকসবজি, শস্য এবং ডাল থাকে, এবং সীমিত পরিমাণে প্রাণীজ খাবার (ডিম, দুগ্ধজাত পণ্য, মাছ এবং কম পরিমাণে মাংস) অন্তর্ভুক্ত থাকে।

সুস্থ থাকতে চান

আজকাল দিনে কারও লক্ষ্য সুস্থ থাকা আর তার জন্য ডায়েট করেন তারা, আবার কারও লক্ষ্য বলিউডের নায়ক-নায়িকাদের মতো চেহারা পাওয়া, কেউ চান খানিক মেদ ঝরাতে, কেউ আবার দীর্ঘ মেয়াদে সুস্থ থাকতে চান।

লক্ষ্য যাই-ই হোক না কেন, সঠিক ডায়েটই সাহায্য করবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যলাভে, এ কথা সমাজ মাধ্যমে দৌলতে প্রায় সকলেই জেনেছেন। কিন্তু মুশকিল হল, রকমারি ডায়েট অনুসরণ করতে গিয়ে কেউ মাঝপথে ছেড়ে দিচ্ছেন, কারও পক্ষে তা ক্লান্তিকর মনে হচ্ছে। ডায়েট মানে পছন্দের অনেক খাবারই বাদ পড়া। ফলে দ্রুত এমন ডায়েট করতে গিয়ে অনেকেই মাঝপথে হাল ছেড়ে দেন।

এই ধরনের ডায়েট খাবারে পুষ্টিগুণের সমন্বয়ে জোর দেয়। কিটো ডায়েট যেমন প্রোটিন উপাদানে জোর দেয়, মনো ডায়েট একই রকম খাবার দিনের পর দিন খেতে বলে, এতে তেমন কিছুই বলা হয় না। বরং পছন্দের যে কোনও স্বাস্থ্যকর খাবারই খাওয়া যায়।এই ডায়েটর উদ্দেশ্যই হল, পুষ্টির অভাব দূর করা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলে ব্যক্তিবিশেষকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করা।

* পশুপালন হোক বা চাষবাস— গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমন কমানো, অতিরিক্ত জল অপচয়, মাটির ক্ষতি কমানোই এর উদ্দেশ্য।

* এই ধরনের ডায়েট স্থানীয় এবং মরসুমি ফল, সব্জি খেতে উৎসাহিত করে। আমদানি করা ফল বা বাইরের সব্জি-ফল আনতে হলে পরিবহণ খরচ লাগে। খাবারের দাম বাড়ে। স্থানীয় চাষের পণ্য নষ্ট হলে বা চাহিদা না থাকলে কৃষকের ক্ষতি হতে পারে।

* দাম বেশি নয়, অথচ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন যে খাবার লোকে সহজে খেতে পারেন, আবার যেটি চাষ করে কৃষকেরও উপার্জন হয়— এমন খাবারই থাকে খাদ্যতালিকায়।

এই ডায়েটের মধ্যে কি কি খাবার রাখা যায় জেনে নিন -

এমন খাবার যেমন ফল, টাটকা শাকসব্জি, ডাল, দানাশস্য পছন্দের যে কোনও খাবার পরিমিত খাওয়া চলে। যেমন বাজারচলতি চিপ্‌স বা মুখরোচক খাবারের বদলে ছোলাভাজা, মাখানা খাওয়া যেতে পারে।

এছাড়া খাবারে যোগ করা দরকার ফাইবার। স্যালাড, স্যতে করা সব্জির সঙ্গে থাক পনির, মাছ, মাংস, টোফু। এতে পেট ভরবে, আবার রক্তে শর্করার মাত্রাও বাড়বে না। পছন্দের খাবার বাদ না দিয়ে পরিমিত পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে। বড় থালা বাটির বদলে ছোট থালা বা বাটিতে খাবার রাখুন। থালা-বাটি ভরা রাখলে মানসিক তৃপ্তি আসবে। মনে হবে না, কম খাওয়া হচ্ছে। প্রাণিজ প্রোটিনের বদলে উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ানো যায়। অঙ্কুরিত ছোলা, মুগ, টোফু, পনির, সয়াবিন— খাদ্যতালিকায় রাখলে শরীর ভাল থাকবে।

কৃত্রিম গন্ধ এবং স্বাদযুক্ত দই, খাবারের বদলে টাটকা ফল, সব্জি খাওয়া ভাল। আম ফ্লেভারের দইয়ের বদলে টাটকা ঘরে পাতা দই খান।তার সঙ্গে আম খাওয়া যায়। এতে পুষ্টিগুণও বেশি মেলে। এছাড়া খাবার অপচয় রোধে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয় এতে। বাসি ভাত, ডাল দিয়ে বাড়ির মহিলারা অনেক কিছু বানিয়ে নেন। সেটাও করা যায়। পড়ে থাকা ডাল দিয়ে হতে পারে ডাল পরোটা। আলু দিয়ে আলুকাবলি বা মুড়ি মাখা।

মানব শরীরে সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত জল বা তরল খাবার খাওয়া জরুরি। কিন্তু কার্বন যুক্ত বা চিনি যুক্ত পানীয় স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী নয়। বরং বাড়িতে তৈরি ছাস, ঘোল, লস্যি, লেবুর জল, পুদিনার শরবত খাওয়া যায়।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

শীতের দিনে গরম জলে পা ডুবিয়ে বসে থাকুন, আরাম পাবেন, সঙ্গে আছে অনেক উপকারিতা
গোটা আমলকি নাকি আমলকির রস কোনটি খাওয়া সবচেয়ে বেশি উপকারী জানুন!