
গিজার চালু রেখে স্নান করা বিপদজনক কারণ। এতে অতিরিক্ত গরম হওয়ার ঝুঁকি থাকে, যা চামড়া পুড়ে যাওয়া বা অস্বস্তির কারণ হতে পারে এবং থার্মোস্ট্যাটের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এটি গ্যাস লিক হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ায়, বিশেষ করে যদি গিজারে কোনো সমস্যা থাকে বা এর রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকমতো না করা হয়।
** বিপদগুলির বিস্তারিত আলোচনা:
* অতিরিক্ত গরম হওয়া এবং চামড়া পোড়া: গিজার চালু রেখে স্নান করলে জল অতিরিক্ত গরম হয়ে যেতে পারে। এতে ত্বক পুড়ে যাওয়ার বা গুরুতর অস্বস্তি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাপমাত্রা সঠিক স্তরে না থাকলে এই ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।
* বৈদ্যুতিক শক: ত্রুটিপূর্ণ তারের কারণে বা সুরক্ষামূলক বৈশিষ্ট্যের অভাব থাকলে বৈদ্যুতিক শক লাগার ঝুঁকি থাকে।
* অতিরিক্ত চাপ এবং ক্ষতি: গিজার চালু রাখলে থার্মোস্ট্যাটের উপর চাপ পড়ে এবং ট্যাঙ্কের ভেতরে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে যন্ত্রটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং আগুনের ঝুঁকিও বাড়তে পারে, বিশেষ করে যদি তারগুলো পুরোনো ও দুর্বল থাকে।
* গ্যাস লিক এবং শ্বাসকষ্ট: গ্যাসের গিজারের ক্ষেত্রে, যদি কোনো কারণে গ্যাস লিক হয় বা অক্সিজেনের ঘাটতি হয়, তবে তা মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। এর ফলে শ্বাসকষ্ট বা অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যা হতে পারে।
* নিরাপদ থাকার জন্য কিছু টিপস:
** গিজার বন্ধ করুন: স্নান শুরু করার আগে গিজার বন্ধ করার অভ্যাস করুন এবং স্নান শেষ হওয়ার পর আবার চালু করতে পারেন। এতে জল অতিরিক্ত গরম হওয়া থেকে রক্ষা করে এবং দুর্ঘটনা এড়াতে সাহায্য করে।
** সঠিক তাপমাত্রা সেট করুন: তাপমাত্রা ৫০-৬০° সেলসিয়াসের মধ্যে রাখুন। এটি স্বাস্থ্যসম্মত এবং নিরাপদ উভয়ই।
** নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ: নিয়মিত গিজারের রক্ষণাবেক্ষণ করুন এবং ত্রুটিপূর্ণ তার বা অন্যান্য সমস্যা থাকলে দ্রুত মেরামত করান।
** সঠিক বায়ুচলাচল: বাথরুমে পর্যাপ্ত বায়ুচলাচলের ব্যবস্থা রাখুন, বিশেষ করে যদি গ্যাসের গিজার ব্যবহার করেন। এটি গ্যাস জমে থাকা রোধ করতে সাহায্য করে।
** বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন: যদি গিজার সংক্রান্ত কোনো সমস্যা দেখা যায়, তবে একজন অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ানের সাহায্য নিন। কখনোই নিজে থেকে মেরামতের চেষ্টা করবেন না।