এই সমস্যা বেশি দেখা যায় শিশুদের মধ্যে। তাই প্রতি ৬ মাস অন্তর শিশুদের কৃমিনাশক ওষুধ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আসুন জেনে নেই পেটের কৃমির কারণে শরীরে কী কী লক্ষণ দেখা যায় এবং কীভাবে তা প্রতিরোধ করা যায়
আজকাল মানুষের খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার অনেক অবনতি হয়েছে, যার কারণে মানুষকে অনেক গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এর মধ্যে একটি হলো পেটে কৃমি বেড়ে ওঠার সমস্যা। সাধারণত বাইরের খাবার খেলে বা নোংরা জল পান করলে পেটে কৃমি জন্মাতে শুরু করে।
এই সমস্যা বেশি দেখা যায় শিশুদের মধ্যে। তাই প্রতি ৬ মাস অন্তর শিশুদের কৃমিনাশক ওষুধ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আসুন জেনে নেই পেটের কৃমির কারণে শরীরে কী কী লক্ষণ দেখা যায় এবং কীভাবে তা প্রতিরোধ করা যায়...
পেটের কৃমির লক্ষণ
পেট ব্যথা
ডায়রিয়া বা বমি
গ্যাস এবং ফোলা সমস্যা
চোখের লালভাব
ওজন কমা
সাদা জিহ্বার রঙ
পুরু জিহ্বা
দুর্গন্ধের সমস্যা
রাতে বাচ্চাদের দাঁত বাজানো
পেটের কৃমি হলে এই প্রতিকারগুলি অনুসরণ করুন
-এর জন্য সেলারি পিষে পাউডার তৈরি করে তারপর সেলারির সঙ্গে সমপরিমাণ গুড় মিশিয়ে বড়ি তৈরি করুন। এই বড়ি দিনে তিনবার খান। এর মাধ্যমে আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
- ডালিমের খোসা শুকিয়ে গুঁড়ো করে এক চামচ করে দিনে তিনবার খান। এটি প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশু উভয়ই খেতে পারে, এটি আপনার পেটের কৃমি মেরে ফেলবে।
- নিম পাতা পেটের কৃমি মারতে কার্যকরী প্রমাণিত। নিম পাতায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায় যা পোকামাকড় ধ্বংস করে। এটি খাওয়ার জন্য আপনি চাইলে নিম পাতা পিষে তাতে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। সকালে খালি পেটে খেতে পারেন।
- পেটের কৃমি মারতে রসুনের চাটনি বানিয়ে তাতে শিলা লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি সকালে এবং সন্ধ্যায় সেবন করলে কয়েক দিনের মধ্যে পেটের সমস্ত কৃমি মারা যায়।
এছাড়া বাচ্চাদের পেটের কৃমি হলে তুলসীর রস খাওয়াতে পারেন। এর জন্য দিনে দুবার ১ চা চামচ তুলসী পাতার রস পান করুন। এতে মলের মাধ্যমে পেটের কৃমি বেরিয়ে আসবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।