চাপ ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। ঘুমানোর আগে বই পড়া বা গান শোনা মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক।
আজ ১৪ মার্চ, বিশ্ব ঘুম দিবস। সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে ঘুমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোই এই দিনের তাৎপর্য। বিশ্বব্যাপী ৭০টিরও বেশি দেশে এই দিনটি পালিত হয়। এই বছরের মূল ধারণা হলো ঘুমের স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া। রাতে ভালো ঘুমের জন্য কিছু টিপস:
ঢিলেঢালা এবং আরামদায়ক পোশাক পরে ঘুমানো
পোশাক ঘুমের ধরন এবং এর গুণমানকে প্রভাবিত করতে পারে। ঢিলেঢালা পোশাক পরে ঘুমানো ভালো ঘুমের জন্য সহায়ক হতে পারে। শোওয়ার ঘর খুব ঠান্ডা বা গরম না হয়ে সঠিক তাপমাত্রায় থাকলে তা ভালো ঘুমের কারণ হতে পারে।
আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা
ঘুমানোর সময় একটি পরিষ্কার এবং পরিচ্ছন্ন শোওয়ার ঘর আরও আরামদায়ক করে তোলে। ঘুমানোর পাঁচ মিনিট আগে বিছানার চাদর পরিবর্তন করুন, বিছানা পরিপাটি করে রাখুন ইত্যাদি। যদি হাঁপানি বা অ্যালার্জি থাকে তবে শোবার ঘর নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
বালিশ এবং বিছানা নিয়মিত ধোয়া
বিছানায় ধুলোবালি, পোষা প্রাণীর লোম ইত্যাদি অনেক ময়লা লেগে থাকতে পারে। বিছানা এবং বালিশের কভারে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৩০ লক্ষ ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। ধোঁয়া, ক্ষতিকারক দূষণকারী পদার্থ রাতের বেলা বাতাসের সঙ্গে মিশে থাকতে পারে।
মোবাইল ফোন সরিয়ে রাখুন
রাতে বেশি সময় ধরে ফোন ব্যবহার করলে ঘুমের অভাব হতে পারে। IKEA-এর 'স্লিপ আনকভার্ড' রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী প্রায় ৯০% মানুষ শোবার ঘরে ফোন ব্যবহার করে।
ঘুমানোর আগে মানসিক চাপ কমানো
চাপ ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। ঘুমানোর আগে বই পড়া বা গান শোনা মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক।
রাতে ঘুমানোর দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খাওয়া
ঘুমের ঠিক আগে খাবার খেলে শারীরিক অস্বস্তি হতে পারে। খাবার খাওয়ার পরে, বুকজ্বালা বা খাদ্যনালী থেকে অ্যাসিড এবং খাদ্য উপরের দিকে উঠে আসলে ঘুম ভেঙে যেতে পারে। তাই ঘুমানোর দুই ঘণ্টা আগে খাবার খান।