চশমা ব্যবহার বন্ধ করতে চাইলে আয়ুর্বেদে বলা কিছু উপায় করতে পারেন। এর ফলে সময়ের সাথে সাথে চোখে চশমা পরার প্রয়োজন হবে না। জেনে নেওয়া যাক কোন কোন আয়ুর্বেদিক উপায়ে চশমা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
চোখের স্বাস্থ্যের জন্য আয়ুর্বেদিক উপায় : বর্তমানে ছোট বাচ্চাদেরও চশমা লাগছে। আমাদের দাদা-দিদিমাদের সময়ে অনেকেরই পঞ্চাশ বছর বয়সের পর চশমা লাগত। কিন্তু আজ মানসিক চাপ, জীবনযাত্রার পরিবর্তন, খাওয়া-দাওয়ার বদল ইত্যাদি কারণে স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়ছে। এর সাথে সাথে নেটমাধ্যম, কম্পিউটারে কাজ করার ফলেও চোখের উপর চাপ পড়ে। এর ফলে চোখে চশমা পরার প্রয়োজন হয়। আসলে, স্ক্রিনের আলো আমাদের চোখের উপর প্রভাব ফেলে। জেনে নেওয়া যাক চোখের চশমা দূর করার জন্য আয়ুর্বেদের কোন কোন উপায় করতে হবে...
ত্রিফলার সেবন
আয়ুর্বেদে চোখের জন্য ত্রিফলার সেবন অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করা হয়। এতে আমলকী, হরিতকী এবং বিভীতকীর ব্যবহার করা হয়। আয়ুর্বেদ অনুসারে, ত্রিফলার গুঁড়ো রাতে ঘুমানোর আগে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে পান করতে হবে। এর ফলে চোখে ধীরে ধীরে পরিষ্কার দেখা শুরু হতে পারে। এছাড়া শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের হতে সাহায্য করে।
বাদাম, মৌরি এবং মিশ্রি
আয়ুর্বেদ অনুসারে, বাদাম, মৌরি এবং মিশ্রি চোখের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। মৌরিতে antioxidant গুণ চোখের পেশীর জন্য অত্যন্ত উপকারী। এছাড়া বাদামে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এ এবং কিছু minerals থাকে।
চোখ পরিষ্কার রাখুন
চশমা থেকে দূরে থাকার জন্য আয়ুর্বেদ অনুসারে, প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখে জল ভরে রাখতে হবে এবং জল দিয়ে চোখ ধুতে হবে। এর ফলে চোখ পরিষ্কার হয়।
চোখের ব্যায়াম করুন
চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন কিছুক্ষণ চোখের ব্যায়াম করুন। এর ফলে চোখের পেশী শক্তিশালী হতে সাহায্য করে।
চোখে বিশ্রাম দিন
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কিছু পরিবর্তন আনলে কিছু রোগ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে। নেটমাধ্যমে অনেক সময় ধরে কাজ করলে কিছুক্ষণ বিরতি নিন। চোখে বিশ্রাম দিন। এছাড়া তীব্র রোদে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।
(দাবিত্যাগ : এই লেখার মাধ্যমে শুধুমাত্র তথ্য প্রদান করা হচ্ছে। এ বিষয়ে Asianet News Bangla কোনও দাবি ও সমর্থন করছে না। এর জন্য সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
আরও পড়ুন :