
মেয়েদের স্বাস্থ্য টিপস: প্রতিটি মেয়ে এবং মহিলার জন্য যোনি স্বাস্থ্য অন্যান্য শারীরিক স্বাস্থ্যের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে অল্প বয়সে অর্থাৎ ১৫-৩০ বছর বয়সের মধ্যে মেয়েদের যোনি সংক্রমণের সমস্যা তাড়াতাড়ি দেখা দেয়। যখন একটি মেয়ে শৈশব থেকে কৈশোরে এবং তারপর যৌবনে পা রাখে, তখন তার শরীরে অনেক শারীরিক এবং হরমোনের পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে। এই পরিবর্তনের প্রক্রিয়া যতটা স্বাভাবিক, ততটাই সংবেদনশীল। এই সময় শরীরের কিছু অংশ বিশেষ করে যোনি বেশি যত্ন এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা দাবি করে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমাদের সমাজে আজও যোনি স্বাস্থ্য নিয়ে খোলাখুলি কথা বলা লজ্জা বা বিষয় এড়িয়ে যাওয়ার বিষয় বলে মনে করা হয়।
এই নীরবতা এবং তথ্যের অভাব অনেক অল্প বয়সী মেয়েদের দ্রুত এবং বারবার যোনি সংক্রমণের সমস্যায় ফেলে দেয়। অনেক সময় ছোটখাটো অসুবিধা, যেমন চুলকানি, জ্বালাপোড়া বা দুর্গন্ধ পরে বড় স্বাস্থ্য সমস্যায় পরিণত হয়, যতক্ষণ না এটিকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয়। এই লেখায় আমরা জানবো কেন অল্প বয়সী মেয়েদের যোনি সংক্রমণের সমস্যা তাড়াতাড়ি হয়, এর পিছনে বৈজ্ঞানিক এবং জীবনযাত্রার কারণগুলি কী এবং কীভাবে কিছু সহজ স্বাস্থ্য অভ্যাস গ্রহণ করে এটি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কারণ যখন শরীরের প্রাকৃতিক যত্নের কথা আসে, তখন লজ্জা নয়, শুধুমাত্র বুদ্ধিমানের কাজ করা উচিত।
কম বয়সে শরীরে দ্রুত হরমোনের পরিবর্তন ঘটে যেমন ঋতুস্রাব শুরু, বয়ঃসন্ধি বা গর্ভাবস্থা। এই পরিবর্তনের কারণে যোনির pH ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে, যার ফলে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
হ্যাঁ, এটি সবচেয়ে সাধারণ কারণ। টাইট ফিটিং বা নন-কটন (যেমন নাইলন বা লেইস) অন্তর্বাস ত্বককে শ্বাস নিতে দেয় না, যার ফলে ঘাম জমে এবং ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়। এটিই সংক্রমণের কারণ।
যোনিকে খুব বেশি ধোয়া (বা একেবারেই পরিষ্কার না করা), কঠোর সাবান ব্যবহার করা, বা ঋতুস্রাবের সময় দীর্ঘক্ষণ প্যাড পরিবর্তন না করা - এই সমস্ত অভ্যাস যোনিকে নষ্ট করে এবং সংক্রমণের আমন্ত্রণ জানায়।
আপনি যদি বারবার জ্বর বা সর্দির জন্য অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করেন, তবে এই ওষুধগুলি আপনার শরীরের ভালো ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস করে, যার ফলে ছত্রাক বা ইস্ট সংক্রমণ দ্রুত হয়।
কিছু মেয়ে সুগন্ধি যোনি ওয়াশ, পাউডার বা অন্তরঙ্গ সুগন্ধি ব্যবহার করে, যা ভিতরের ত্বকে জ্বালা করে এবং সংক্রমণের কারণ হতে পারে।