রোজ ভেজানো কিশমিশ খাচ্ছেন, তবে জলে না দুধে ভেজালে উপকার পাবেন বেশি?

Published : Aug 14, 2025, 01:50 PM IST
eating black raisins with milk daily

সংক্ষিপ্ত

কিশমিশ নিজেই ভীষণ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। তবে দুধে ভিজিয়ে খেলে উপকার আরও বাড়তি মেলে। এক্ষেত্রে পুষ্টিবিদ অনন্যা ভৌমিক জানাচ্ছেন বিস্তারিত। 

Health News: আজকাল ডায়েটের যুগে মিষ্টি গোছের যেকোনো খাবারে অনেকেই কিশমিশ ব্যবহার করে থাকেন। আবার সকালে ড্রাই ফ্রুট-সীডের সাথেও ভেজানো কিশমিশ খেয়ে থাকেন। বেশিরভাগ এমনি খেয়ে থাকেন, অনেকে আবার জলে ভিজিয়ে খান। এদিকে পুষ্টিবিদ অনন্যা ভৌমিক বলছেন, ‘‘কিশমিশ দুধে ভেজালে দুধেরও কিছু কিছু পুষ্টিগুণ জুড়বে। তার ফলে একটু হলেও পুষ্টিগুণ বাড়বে’’।

ভিজানো কিশমিশ চিবিয়ে খেতে সুবিধা, তাই যাদের দাঁতের সমস্যা আছে তারা খেতে পারবেন। তবে কীসে ভিজিয়ে খেলে কিশমিশের পুষ্টিগুণ বাড়বে জেনে নেওয়া যাক।

জলে ভিজানো কিশমিশ খেলে কী সুবিধা?

১. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ মিশমিশ

কিশমিশ ভেজানো জল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। ফ্রি র‌্যাডিক্যালের হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এছাড়াও এতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

২. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে

কিশমিশ ভেজানো জলে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম মিলে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই রক্তে আয়রনের পরিমাণ কম হলে কিশমিশ ভেজানো জল খেলে প্রতিকার মিলতে পারে।

৩. অন্ত্রের সুস্বাস্থ্য সহায়ক

জলে ভেজানো কিশমিশে থাকা ফাইবার হজমে সাহায্য করে। অন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং পেট পরিষ্কার রাখতে ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায়ও সহায়ক।

দুধে ভেজানো কিসমিস খেলে কী সুবিধা পাবেন?

কিসমিস তুজে ভিজিয়ে খেলে দুধ কিছুটা মিষ্টতা ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শুষে নেমে ঠিকই তবে এর কিছু উপকারিতাও আছে।

১. শক্তির যোগান দেয়

দুধে ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, ডি-সহ নানা পুষ্টিগুণ থাকে। তাই দুধে ভেজানো কিশমিশ শরীরে আর্দ্রতা ও কিছুটা শক্তির যোগান দেয়।

২. রক্তাল্পতা দূর হয়

দুধে ভেজানো কিশমিশ খেলে আয়রন ও ভিটামিন বি ১২ পাওয়া যায়, যা রক্তাল্পতা উপশম করতে সাহায্য করে।

৩. হাড়ের সুস্বাস্থ্যে উপকারী

দুধে ভেজানো কিশমিশে থাকা ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম হাড়ের সুস্বাস্থ্যে উপকারী।

তবে কীভাবে খাওয়া উচিত কিশমিশ?

১ কাপ বা আধ গ্লাস দুধে ৬-৭ টা কিশমিশ ভিজিয়ে রাখুন ঘন্টাখানেক, বা সারারাত। বাচ্চা থেকে বুড়ো, সকলেই কগেটে পারে।

তবে পুষ্টিবিদ অনন্যা সতর্ক করছেন, যারা ল্যাক্টোজ় ইনটলারেন্স তারা জলে ভিজিয়েই কিশমিশ খান, অথবা আমন্ড মিল্ক দিয়েও খেতে পারেন। কিশমিশে শর্করা থাকে, তাই ডায়াবেটিকরা বুঝে শুনে খাওয়াই ভালো।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

শীতকালীন অবসাদ জানেন কী হয়? মন ভালো করতে কেক বা চকলেট নয়, করুন এই কয়েকটি উপায়
৬০ সেকেন্ডের কম সময়ে মেজাজ হবে ভালো, রইল টিপস