
অনেকেরই ওজন কমানোর চিন্তা থাকে, কিন্তু কিছু মানুষ এর ঠিক উল্টো সমস্যায় ভোগেন। অর্থাৎ তাদের ওজন বাড়ছেই না। এমন মানুষদের জন্য ওজন বাড়ানোও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। ওজন বাড়ানোর জন্য শুধু প্রচুর খাওয়া যথেষ্ট নয়, বরং পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং সঠিক পরিমাণে খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন। নিচে আমরা দেখব ওজন বাড়ানোর জন্য কোন কোন খাবার আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত।
ড্রাই ফ্রুটস এবং বাদাম
বাদাম, আখরোট, খেজুর, কিশমিশ, কাজু – এই খাবারগুলি ক্যালরি এবং ভালো ফ্যাটে ভরপুর। এগুলি প্রতিদিন অল্প পরিমাণে খেলে শরীর শক্তি পায় এবং ওজনও বাড়ে। চিনাবাদাম, তিল, জোয়ারের মতো খাবারও শরীরকে শক্তি যোগায়।
দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার
ফুল-ক্রিম দুধ, ঘি, মাখন, পনির এবং দই ওজন বাড়ানোর জন্য উপকারী। এগুলিতে প্রোটিন, ফ্যাট এবং ক্যালসিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে। প্রতিদিন এক-দুই গ্লাস দুধ, গুড় অথবা খেজুর-কিশমিশের মিশ্রণ খেলে আরও উপকার পাওয়া যায়।
কলা
কলা সারা বছর পাওয়া যায় এমন একটি ফল। কলা খেলে দ্রুত ওজন বাড়ে। একটি কলায় প্রায় ১০০ ক্যালরি থাকে। দুধে কলা মিশিয়ে শেক করে খেলে আরও উপকারী।
ডিম এবং মাংস
যারা আমিষ খান, তাদের জন্য ডিম, মুরগি, মাটন, মাছ – এগুলি উৎকৃষ্ট প্রোটিনের উৎস। ডিমের কুসুমে ফ্যাট এবং ক্যালরি বেশি থাকে। সপ্তাহে ২-৩ বার আমিষ খেলে ওজন বাড়তে সাহায্য করে।
ভাত এবং গমজাতীয় খাবার
সাদা ভাত, রুটি, পরোটা, ভাকরি – এই খাবারগুলি নিয়মিত খাওয়া উচিত। ভাত দ্রুত শক্তি যোগায়। তাই খাবারে ভাতের পরিমাণ সঠিকভাবে বাড়ালে ওজন বাড়তে সাহায্য করে।
সিদ্ধ আলু এবং অন্যান্য খাবার
আলু, মিষ্টি আলু, ওল – এগুলি ওজন বাড়ানোর জন্য প্রাকৃতিক কার্বোহাইড্রেটের উৎস। সিদ্ধ করে তাতে অল্প ঘি/মাখন মিশিয়ে খেলে স্বাদও পাওয়া যায় এবং ওজনও বাড়ে।
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট
ঘি, নারকেল তেল, অলিভ অয়েলের মতো প্রাকৃতিক তেল খাবারে সঠিক পরিমাণে ব্যবহার করলে ওজন বাড়ে। তবে এগুলি শুধুমাত্র সীমিত পরিমাণেই খাওয়া উচিত।
ঘরে তৈরি এনার্জি শেক
খেজুর, বাদাম, দুধ, কলা, চিনাবাদাম মিশিয়ে তৈরি ঘরোয়া শেক ওজন বাড়ানোর জন্য খুবই কার্যকর।
উল্লেখ্য, ওজন বাড়ানোর সময় শুধু প্রচুর খাওয়া নয়, পুষ্টিগুণের দিকেও নজর রাখতে হবে। দিনে ৫-৬ বার অল্প অল্প করে খান, পর্যাপ্ত ঘুমান এবং ব্যায়াম বা যোগব্যায়ামও করুন। এতে ওজন স্বাস্থ্যকরভাবে বাড়বে এবং শরীর দুর্বল না হয়ে শক্তিশালী হবে। ডাক্তার বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়াও ভালো বিকল্প।