
সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই ওজন কমাতে সকলেই লেবু জল খাচ্ছেন, পরামর্শও দিচ্ছেন। উষ্ণ গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে তৈরি ডিটক্স পানীয়, যা আজকাল স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের দৈনন্দিন রুটিনে বেশ জায়গা করে নিয়েছে। অনেকেই সকালে খালি পেটে উষ্ণ গরম জলে লেবু মিশিয়ে পান করে থাকেন, আবার কেউ কেউ সারা দিনে একাধিকবার এই ডিটক্স পানীয় সেবন করেন। হার্ভার্ডের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ডঃ সৌরভ শেঠিও এই একই কথা বলছেন, আপনি যদি ১৪ দিন ধরে রোজ সকালে খালি পেটে লেবু জল পান করেন, তবে এর উপকারিতা পাবেন অনেক।
আসুন জেনে নেওয়া যাক, টানা ১৪ দিন ধরে খালি পেটে রোজ উষ্ণ গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে শরীরে কী কী পরিবর্তন আসতে পারে?
১। শরীরে আয়রন শোষণ বাড়বে
লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা শরীরে আয়রন শোষণ বাড়ায়। ফলে শরীরের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ে। যারা রক্তাল্পতায় ভুগছেন বা কোনো কারণে আয়রন সাপ্লিমেন্ট খাচ্ছেন, তাদের জন্য লেবু জল খাওয়া বেশি উপকারী।
২। ওজন কমাতে সহায়ক
গবেষণায় দেখা গেছে, লেবু জল মেটাবলিজম বাড়াতে ও চর্বি গলাতে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে লেবু জল খেলে ক্ষুধা কমে এবং ক্যালরি ইনটেকও নিয়ন্ত্রিত থাকে। ফলে ওজন কমে।
৩। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
লেবুতে ৩০ রকমের ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস থাকে আর ভিটামিন সি থাকে, যা ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। সর্দি-কাশি ও ঋতু পরিবর্তনের জ্বর ও সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৪। শরীর পরিশোধন করে
লেবু জল লিভারকে সক্রিয় করে প্রস্রাবর মাধ্যমে শরীর থেকে টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। ১৪ দিন ধরে লেবু জল পান করলে রক্ত শুদ্ধ হবে, শরীর ধীরে ধীরে হালকা ও সতেজ হতে থাকবে।
৫। ত্বকে উজ্জ্বলতা আনে
লেবুতে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষ পুনর্গঠন করে এবং ব্রণ ও দাগ কমাতে সাহায্য করে। টানা ১৪ দিন লেবু জল পান করলে ত্বক হয়ে ওঠে উজ্জ্বল ও দাগহীন।
৬। টেন্ডন শক্তিশালী হয়
লেবু শরীরে কোলাজেন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। লিগামেন্ট ও টেন্ডন শক্তিশালী করে তোলে। এই কোলাজেন শরীরে কম থাকলে জয়েন্ট দুর্বল হয়ে পড়ে।
৭। ফোলাভাবে কমায়
লেবুর অ্যান্টিইনফ্লামেটরি গুণ শরীরের প্রদাহ কমিয়ে ফোলাভাব কমায়। শরীরের ইউরিক অ্যাসিড জমতে বাধা দেয় , ফলে জয়েন্টে বা গাঁটে ব্যথা কম করতে সাহায্য করে।
৮। রিফ্রেশমেন্ট এবং এনার্জি ড্রিংক
সকালে খালি পেটে লেবু জল পান করলে শরীরে সতেজতা ও শক্তি আসে, ক্লান্তি ভাব দূর হয়। টানা ১৪ দিন ধরে এই কাজ করলে আপনি ধীরে ধীরে সতেজতা ও সক্রিয়তা অনুভব করবেন।