
গরম জলে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খেলে খুব বেশি ওজন কমে না। কিন্তু ঈষদুষ্ণ জলে এক চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে খেলে দারুণ উপকার মেলে। অনেক তাই ওজন কমাতে পারবেন আপনি।
আজকাল প্রায় প্রত্যেকেই স্বাস্থ্য সচেতন।ওজন নিয়ে সকলেই অনেক রকম অনেক কিছু করেন। তবে আজকাল চারিদিকে ওবেসিটির এত সমস্যা বেড়েছে যার জন্য স্বাস্থ্য নিয়ে সকলেই প্রায় সচেতন হয়েছেন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কসরত করেন প্রত্যেকে। রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে লেবুর জল খান। কিন্তু এত মাস লেবুর জল খেয়েও ওজনের কাঁটা খুব বেশি কমল না। এই পানীয় খেলে কি ছিপছিপে চেহারা পাওয়া সম্ভব? এই প্রশ্ন আপনার মনে থাকলে ক’দিন লেবুর জলের বদলে অ্যাপেল সিডার ভিনিগারে চুমুক দিন।আর দেখুন কিভাবে চরচরিয়ে আপনারও ওজন কমে। অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার বিপাকক্রিয়ার হারকে বাড়িয়ে তুলে ওজন কমানোতে সাহায্য করে। খাওয়ার ইচ্ছেও কমিয়ে দেয়। এর ফলে আপনার খিদে নিয়ন্ত্রণে থাকে। এবার
জেনে নিন অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার খেলে শরীরের আর কি কি উপকার পাবেন:
* রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবিটিসে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি। ডায়াবিটিস ও ওবেসিটি দু’টো সুস্থ জীবনযাপনের শত্রু। তাই অ্যাপেল সিডার ভিনিগারকে ডায়েটে রাখুন। এই পানীয় রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ওজনও বাড়তে দেয় না। প্রি-ডায়াবিটিক বা ডায়াবিটিসের রোগী হলে রোজ সকালে খেতে পারেন অ্যাপেল সিডার ভিনিগার।
* কোলেস্টেরলের সমস্যা দূর করে রক্তে এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে ওজনও বাড়ে। পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি হয়। এই সমস্যা এড়াতেও অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খেতে পারেন। এই পানীয় রক্তে জমে থাকা কোলেস্টেরলকে বের করে দেয়। ফ্যাট গলাতে অ্যাপেল সিডার ভিনিগারের জুড়ি মেলা ভার।
* উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমবে উচ্চ রক্তচাপের ব্যক্তিরাও অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খেতে পারেন। কিন্তু সীমিত পরিমাণে। তার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। তবে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে পারবেন। ব্যালান্সড ডায়েট এবং শরীরচর্চার সঙ্গে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার এই সব উপকারিতাগুলো পেতে পারেন।