কালচে ছোপ বা দুর্গন্ধ বা বাহুমূলের যেকোনও সমস্যার পেছনে কী কী কারণ রয়েছে তা জানলে অবাক হবেন। কোনও ভ্রান্ত ধারণা ও দীন স্বাস্থ্যবিধিকে দোষারোপ না করে আলোচনা করা যাক বাহুমূলের স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে।
গরম আবহাওয়া ও কর্মব্যস্ত থাকার ফলে ঘেমে গিয়ে আন্ডার আর্ম থেকে বিশ্রী ঘামের গন্ধ বের হয়। পাউডার, বডি-স্প্রে ব্যবহার করেও সব সময় এই বগলের দুর্গন্ধ থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায় না। অনেকে আবার ভাবেন বগলে লোমের কারণে গায়ে বা বগলে গন্ধ হচ্ছে। তখন দামি পার্লার থেকে নাহয় ঘরেই ত্বকের পরোয়া না করেই ওয়াক্সিংয়ের চেষ্টা করেন।
210
তবে একটু সচেতন হলেই আর এসব পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয় না, বাসায় বসেই সঠিক যত্নের মাধ্যমে আন্ডার আর্ম রাখা যায় দুর্গন্ধহীন ও পরিষ্কার। পারফিউম বা বডি স্প্রে খুব চট জলদি একটা সমাধান, এগুলো ইনস্ট্যান্টলি আপনাকে রিফ্রেশিং ফিল দেয়।
310
বাহুমূল কালচে বা দুর্গন্ধ হয় কেন?
ঘামের নিজস্ব কোন গন্ধ নেই। তবে ত্বকের ব্যাকটেরিয়া যখন ঘামকে অ্যাসিডে পরিণত করে দেয়, অর্থাৎ ব্যাকটেরিয়া এবং অ্যাসিড শরীরের দুর্গন্ধ তৈরি করে, তখন শরীরে ঘাম থেকে দুর্গন্ধ হতে পারে।
তবে সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে শরীরের দুর্গন্ধ নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। যেমন সুগন্ধির ব্যবহার, শরীর পরিষ্কার রাখা এবং পরিষ্কার পোশাক পরা। কিছু চিকিৎসাগত অবস্থা যা আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না তার কারণেও শরীরের দুর্গন্ধ হতে পারে।
510
কিভাবে পরিষ্কার রাখবেন বাহুমূল?
১. স্নানের সময়ে pH নিয়ন্ত্রিত সাবান বা বডি ওয়াশ ব্যবহার করতে হবে। তার পর ধুয়ে ফেলতে হবে ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে। অতিরিক্ত খারীয় বা অ্যাসিডিক কিছু ব্যাবিহার থেকে বিরত থাকুন।
610
২. প্রতিদিন জল দিয়ে ভাল করে না ধুলে ঘাম, তেল, ধুলো-ময়লা বা ডিয়োডোর্যান্টের অবশিষ্টাংশ থেকে যেতে পারে। তাই ভাল করে সাবান মেখে জল দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
710
৩. বাহুমূল পরিষ্কার করতে কখনো এমন কিছু ব্যবহার করবেন না যা ত্বকে চাপ সৃষ্টি করে। হাত অথবা নরম কাপড় দিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
810
এতে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে, ত্বকে জ্বালা শুরু হতে পারে। এমন কিছু হলে ভারী গোছের ক্রিম মেখে রেখে দিলেই রেহাই মিলবে।
910
৪. স্নানের পর পারফিউম বা লোশন ব্যবহার করতে চাইলে ভাল করে শুকিয়ে নিতে হবে বাহুমূল।
1010
৫. বহুমুলে লোম থাকলে পরিষ্কার করার সময়ে বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়। এক্সফোলিয়েত করার দরকার পড়ে বেশি। লোমযুক্ত বাহুমূলে ঘাম বেশি হয় ও দুর্গন্ধও বেশি হয়। তাই সপ্তাহে অন্তত দু’বার বাহুমূল এক্সফোলিয়েট করা উচিত।