
Healthcare: চা পানের সঙ্গে হাঁটুর ব্যথার কোনও সরাসরি সম্পর্ক না থাকলেও, শীতের সময়ে জল কম পান এবং ঘন ঘন চা-কফি পান করলে সমস্যা বাড়াতে পারে—এমনটাই মত দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তাদের মতে, চা নিজে ক্ষতিকর নয়। কিন্তু শরীরে জনশূন্যতা তৈরি হলে এবং তার সঙ্গে অতিরিক্ত ক্যাফেইন যুক্ত হলে হাঁটুর গাঁটে ব্যথা বাড়তে পারে, বিশেষ করে যাদের আগে থেকেই আর্থ্রাইটিস আছে। হাঁটুর অস্থিসন্ধিতে থাকে পেশি, লিগামেন্ট, কার্টিলেজ, ক্যাপসুল, সাইনোভিয়াল মেমব্রেন, সাইনোভিয়াল ফ্লুইড ইত্যাদি। সাইনোভিয়াল ফ্লুইডই হাঁটুর চলাচলকে মসৃণ রাখে এবং হাড়ে হাড়ে ঘর্ষণ কমায়। এই তরলের প্রধান উপাদান হল জল। শরীরের জল কমে গেলে এ তরলও কমে যায়, ফলে হাঁটুর অস্থিসন্ধি শুষ্ক হতে থাকে। চিকিৎসকদের মতে, চা ও কফির ক্যাফেইন জল শূন্যতা বাড়িয়ে দিতে পারে। শীতে অনেকেই জল কম পান করে কাপের পর কাপ চা-কফি খান, ফলে শরীরে ক্যাফেইনের মাত্রা বাড়ে এবং সাইনোভিয়াল ফ্লুইডের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। তখনই দেখা দেয় ব্যথা বা অস্বস্তি।
হাঁটুর অস্থিসন্ধিতে আছে মাংসপেশি, লিগামেন্ট, কার্টিলেজ, ক্যাপসুল, সাইনোভিয়াল মেমব্রেন, সাইনোভিয়াল ফ্লুইড, শিরা ধমনী-সহ অনেক কিছুই। সাইনোভিয়াল মেমব্রেন থেকে নিঃসৃত সাইনোভিয়াল ফ্লুইড হাঁটুর অস্থিসন্ধিকে সাবলীল রাখে। রোজকার হাঁটাচলা, দৌড়, ওঠাবসার কারণে হাঁটুর হাড়ে যে ঘর্ষণ হয়, তার থেকে সুরক্ষা দেয় ওই তরল। সাইনোভিয়াল ফ্লুইডের মূল উপাদান হল জল, যা অস্থিসন্ধিকে আর্দ্র রাখে ও হাড়ের মধ্যে ঘর্ষণ কমায়। এই জলই যদি শুকিয়ে যায়, তা হলে মুশকিল। চা বা কফিতে এত বেশি পরিমাণে ক্যাফিন থাকে, যা অস্থিসন্ধির ওই সাইনোভিয়াল তরলকে শুকিয়ে দিতে পারে। চিকিৎসকদের দাবি, শীতের সময়ে অনেকেই জল কম খেয়ে ঘন ঘন চা বা কফি খান। ফলে শরীরে বেশি মাত্রায় ক্যাফিন জমা হতে থাকে, যা সাইনোভিয়াল ফ্লুইডের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। তখন ব্যথা শুরু হবে।
শীতের দিনে পর্যাপ্ত জল ও তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। চা-কফির পরিমাণ কমিয়ে বদলে ডিটক্স পানীয়, বাদামের দুধ, হলুদ–দারুচিনির চা অথবা ওটসের স্মুদি খাওয়াই উপকারী। এতে শরীর আর্দ্র থাকবে এবং হাঁটুর উপর বাড়তি চাপও পড়বে না।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।